বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বগুড়ায় দাদি ও ভাবিকে হত্যা, প্রেমিকা আহত

অন্তর

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ১৭ই জুলাই ২০২৫ ০৭:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় বগুড়া সদরে এক তরুণীর দাদি ও ভাবিকে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এক বখাটে যুবক। হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে ওই তরুণীও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (১৬ই জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার হরিগাড়ি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

 

নিহতরা হলেন হরিগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লায়লী বেওয়া (৬৫) এবং তার নাতি পারভেজের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২২)। হামলায় গুরুতর আহত তরুণী বন্যা (১৭) আব্দুল কুদ্দুসের নাতনি এবং নিহত হাবিবার ননদ। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

পুলিশ ও নিহতদের স্বজন সূত্রে জানা যায়, হরিগাড়ি গ্রামের কলেজছাত্র সৈকত বেশ কিছুদিন ধরে এ বছর এসএসসি পাস করা বন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু বন্যা তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বারবার প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সৈকত।

 

বুধবার রাতে বন্যার বাবা বুলবুল ও ভাই পারভেজ বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে সৈকত তাদের বাড়িতে ঢুকে পুনরায় বন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বন্যা এবারও তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে দুজনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সৈকত নিজের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে বন্যার শরীরে আঘাত করতে থাকে। এসময় বন্যার চিৎকার শুনে তার দাদি লায়লী বেওয়া ও ভাবি হাবিবা ইয়াসমিন তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন। তখন হামলাকারী সৈকত তাদের দুজনকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

 

পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লায়লী বেওয়া ও হাবিবা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান জানান, "প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণেই এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"

 

ডিবিসি/আরএসএল 

আরও পড়ুন