গত সোমবার (২১শে জুলাই) উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনিকে (১১) আজ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯টায় জানাজা নামাজ শেষে বাজড়া কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। রাইসার অকাল প্রয়াণে তার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন এবং পুরো এলাকাবাসী শোকে মুহ্যমান।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনির আকস্মিক মৃত্যুতে তার বাবা শাহাবুল শেখ ও মা মিম দম্পতি ভেঙে পড়েছেন। সোমবার থেকে তাদের চোখে অশ্রু ঝরছে অবিরাম। তিন সন্তানের মধ্যে রাইসা ছিল তাদের দ্বিতীয়। রাইসার জন্মের দুই বছর আগে তাদের কোলজুড়ে এসেছিল বড় মেয়ে সিনথিয়া (১৩), যে একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের কনিষ্ঠ পুত্র রাফসান শেখের বয়স চার বছর।
রাইসা মনির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাহাবুল-মিম দম্পতির স্বপ্ন ছিল তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার। এই লক্ষ্যেই তারা রাইসা ও সিনথিয়াকে উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তাদের সেই স্বপ্নকে তছনছ করে দিয়েছে।
রাইসা মনির বাবা শাহাবুল শেখ জানান, বিমান বিধ্বস্তের পরেরদিন মঙ্গলবার (২২শে জুলাই) সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা রাইসার মরদেহ শনাক্তের জন্য তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা বিশ্লেষণের পর তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই মেয়ের মরদেহ নিয়ে তারা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন এবং ভোরে পৌঁছান। শুক্রবার সকালে স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে বাজড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ডিবিসি/জেআরওয়াই