খেলাধুলা, ক্রিকেট

ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ছড়াছড়ি, নিজেকে নির্দোষ দাবি তার

নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ৪ঠা মে ২০২৫ ০৮:০৯:০৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রীতি মতো দিশেহারা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। প্রমাণসহ যার বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ সেই ফারুক দাবি করছেন তিনি একেবারেই নিষ্পাপ। অথচ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে তার কাছে না আছে কোন তথ্য, না আছে যুক্তি।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ তা যেন এক উত্তরেই উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। অথচ ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিন উঠছে নতুন নতুন অভিযোগ, যার একটির চেয়ে আরেকটি আরও গুরুতর।  নির্বাচিত না হয়েও পরিবর্তিত পরিস্থিতে আস্থাভাজন মনে করেই তাকেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল দেশের ক্রিকেটের। 

 

কয়েক ভাগে বিসিবির প্রায় ২৪০ কোটি টাকা তিনি ব্যাংক থেকে তুলে অন্য ব্যাংকে রেখেছেন। এত টাকার লেনদেন কিন্তু তা ব্যাংক বদল করার আগে বোর্ডের কোন সভায় আলোচনা হলো না, অন্য পরিচালকরা সেটা জানলেনও না। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পরিবারের মালিকানাধীন দুবাইয়ে এক গার্মেন্টসের জিএমের দায়িত্বে আছেন ফারুক, আছে এমন অভিযোগও। সেই সূত্রে তিনি দুবাইয়ের রেসিডেন্ট কার্ড ও অর্থ পাচারের দায়েও অভিযুক্ত তিনি। 

 

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারেরই এক দোসরকে তিনি নিজের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে বিসিবিতে নিয়োগ দিলেন, খবর প্রকাশের পর সেই নিয়োগ আবার বাতিল করা হলো। হত্যা মামলার আসামি এসএম রানাকে বোর্ডের কাগজপত্রে কর্মকর্তা দেখিয়ে বিসিবির খরচে রাখা হয় ৫ তারকা হোটেলে। শুরুতে ফারুক দাবি করেন সেই রানাকে চেনেন না, পরে দেখা গেল দুজনে একসাথে মিলে নারায়ণঞ্জে জমিও কিনেছেন। 

 

এর বাইরেও ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অভাব নেই। তার আমলেও হওয়া বিপিএল হয়েছে সবচেয়ে বিতর্কিত, যেখানে এমন ব্যক্তিকে ফ্রাঞ্চাইজির মালিকানা দেয়া হয়েছে যারা এখন পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকই পরিশোধ করেনি। একই সাথে বিপিএল ও ডিপিএলে উঠেছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। অথচ ফারুক আহমেদের কাছে কোন যুক্তি না থাকার পরও শুধুমাত্র গায়ের জোরেই সব ভুল প্রামাণের চেষ্টা করছেন।

 

ডিবিসি/রাসেল

আরও পড়ুন