এক ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারের গল্পের সমাপ্তি ঘটলো বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মাননার মঞ্চে। জর্ডানে ফিলিস্তিনি বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নেওয়া বিজ্ঞানী ওমর ইয়াঘি রসায়নে ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। "মেটাল-অরগ্যানিক ফ্রেমওয়ার্ক" তৈরির যুগান্তকারী গবেষণার জন্য বুধবার (৮ই অক্টোবর) রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস তাকে এই সম্মাননা প্রদান করে। এই পুরস্কারে তার সঙ্গে সম্মানিত হয়েছেন আরও দুই বিজ্ঞানী—জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার রিচার্ড রবসন।
বিজ্ঞানী ইয়াঘির জীবনসংগ্রাম এবং উত্থানের এক অনন্য প্রতীক। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হওয়ায় তার জন্ম হয়েছিল জর্ডানে। তবে তার মেধা ও গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে সৌদি আরব তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করে। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর আওতায় মেধাবীদের আকর্ষণের নীতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, যা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাকে সম্মান জানানোর একটি নিদর্শন।
পুরস্কার বিজয়ীরা যৌথভাবে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পাবেন। পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা তাদের কাজ সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মেটাল-অরগ্যানিক ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে, এই বিজয়ীরা রসায়নবিদদের আমাদের মুখোমুখি হওয়া কিছু চ্যালেঞ্জ সমাধানের নতুন সুযোগ করে দিয়েছেন।’
সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুসারে ১৯০১ সাল থেকে বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ঐতিহ্য অনুযায়ী, এ বছর চিকিৎসা ও পদার্থবিজ্ঞানের পর তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে রসায়নের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলো। উল্লেখ্য, গত বছর প্রোটিনের গঠন নিয়ে যুগান্তকারী কাজের জন্য তিন বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল।
ডিবিসি/এনএসএফ