আধুনিক ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির ৩৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্ম নিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। যার জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন সমর্থকরা।
১৯৮৭ সালের হোর্হে মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির সংসারে তৃতীয় সন্তান হিসেবে জন্ম নেন লিওনেল মেসি। অন্য সকল শিশুর মতো ছিল না মেসির বাল্যকাল। শারীরিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে খুব ছোট্ট থাকতেই।
সেই অস্বাভাবিকতা জয় করে গত দুই দশক ধরে ফুটবল মাঠে একের পর এক কীর্তি গাঁথা রচনা করেছেন ফুটবলের খুদে জাদুকর। প্রিয় তারকার জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মেসিময় করে তুলেছে তার ভক্তরা। ফেসবুক-টুইটার-ইনেস্টাগ্রাম হয়ে উঠেছে জন্মদিন উদযাপনের অন্যতম মাধ্যম।
গত বছর পিএসজিতে আসার আগে গোটা ক্লাব ক্যারিয়ারটাই কাটান স্পেনের বার্সেলোনায়। আর্জেন্টিনার বাইরে মেসির হৃদয় পড়ে থাকে স্পেনের এই নগরীতেই। বার্সেলোনার কারণেই মেসি দুহাত ভরে পেয়েছেন অজস্র সাফল্য। যার মধ্যে ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ১০টি লা লিগা, ৭টি কোপা দেলরে অন্যতম।
ক্লাব ক্যারিয়ারের পাশাপাশি মেসির জাদুতে গত কয়েক বছরে সব সাফল্য পেয়েছে আর্জেন্টিনা। তার হাত ধরেই ৩২ বছর পর কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালসহ, কোপা আমেরিকাতেও একাধিকবার ফাইনাল পর্যন্ত খেলে আলবেসিলেস্তারা।
বার্সেলোনা ও পিএসজি মিলিয়ে ৬৮৩ গোল ক্লাব ক্যারিয়ারে ও জাতীয় দলের জার্সিতে ৮৬ গোলের মাইলফলক মেসির। সঙ্গে রেকর্ড ৭টি ব্যালন ডি অর। যার মধ্যে চারটিই জিতেছেন টানা চার বছরে। পাশাপাশি রেকর্ড ছয়বার ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন ভিনগ্রহের এই ফুটবলার।
সব অর্জন ও রেকর্ডের মধ্যে অতৃপ্তি কেবল স্বপ্নের ফিফা বিশ্বকাপ। কে জানে কাতার বিশ্বকাপেই সেই স্বপ্ন পূরণ হয় কিনা মেসির। আপাতত স্পেনের একটি দ্বীপে ছুটিতে ঘুরে বেড়ানো ও পরিবারকে সময় দিতেই ব্যস্ত আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।