টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি অবশেষে ফেনী শহর থেকে নামতে শুরু করেছে। বুধবার (৯ই জুলাই) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি সরে যেতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও রেখে যাচ্ছে দুর্ভোগের চিহ্ন; ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফেনীর প্রধান নদী মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর ফলে ফেনী পৌর এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, মিজান রোড, রামপুর শাহীন একাডেমী এলাকা, পাঠানবাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রোবাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। দূর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, সকাল থেকে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং নদীর পানি কিছুটা কমায় শহরের জলাবদ্ধতার উন্নতি হতে শুরু করেছে। যেসব এলাকার পানি নেমে গেছে, সেখানে এখন শুধুই কর্দমাক্ত রাস্তা আর আবর্জনার স্তূপ চোখে পড়ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র। বহু কাঁচা ও আধা-পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় लाखों টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, পানি কমার সাথে সাথে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দ্রুতগতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছে এবং ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও শহরের অবকাঠামো মেরামত একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিবিসি/কেএলডি