আবারও বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ১১ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬শে আগস্ট) দুপুরে শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া নৌঘাট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর এবং টেকনাফ পৌরসভা কায়ুকখালী নৌঘাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, জেলেরা কয়েকদিন আগে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে নাফ নদীর মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকা থেকে মিয়ানমারের জলসীমানায় আরাকান আর্মি তাদের আটক করে। অন্য জেলেদের মাধ্যমেই এই খবর জানা সম্ভব হয়েছে।
এই ঘটনায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনাটি সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যাতে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে, সে জন্য যথাযথ সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত আমাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও জানান, আটক জেলেদের জাতীয়তা যাচাই করে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং সীমান্ত এলাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এদিকে কোস্টগার্ড সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আরাকান আর্মির সদস্যরা যাতে নাফ নদী ব্যবহার করে মাদক পাচার, চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র পাচার, যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করতে না পারে, সেজন্য কোস্টগার্ড দিনরাত টহল এবং গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিগত নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট থেকে ২৬শে আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে আরাকান আর্মি মোট ৫১ জন জেলেকে ট্রলারসহ আটক করেছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন বাংলাদেশি এবং ২৭ জন রোহিঙ্গা জেলে বর্তমানে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।
ডিবিসি/ এএমটি