সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়ের সুযোগ বা মনিটাইজেশন নিয়ে একটি খবর ব্যাপক উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়ের সুযোগ বা মনিটাইজেশন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিচ্ছে মেটা। তবে এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মেটার (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) একটি ঘোষণাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার ফল। বাস্তবতা হলো, ফেসবুক আয়ের সুযোগ বন্ধ করছে না, বরং তাদের মনিটাইজেশন কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনছে।
ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে ভিডিও কন্টেন্ট নিয়ে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনছে, যার ফলে প্রচলিত ভিডিও এবং রিলসের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য থাকছে না। এখন থেকে ব্যবহারকারীরা যে কোনো দৈর্ঘ্যের বা ফরম্যাটের নতুন ভিডিও আপলোড করুন না কেন, সেটিকে ‘রিলস’ হিসেবেই গণ্য করা হবে। এই কৌশলগত পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীদের জন্য ভিডিও প্রকাশের প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ ও সুবিন্যস্ত করা।
মেটার এই নতুন নীতি অনুসারে, এখন থেকে একটি ছোট ক্লিপ, একটি দীর্ঘ ভিডিও, এমনকি একটি লাইভ স্ট্রিম—সবকিছুই ‘রিলস’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হবে। এর ফলে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের আর ভিডিও বা রিলস—এই দুটি ভিন্ন ফরম্যাটের মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ও পেজের ‘ভিডিও’ ট্যাবটির নাম পরিবর্তন করে ‘রিলস’ রাখা হবে। এই নতুন ‘রিলস’ ট্যাবেই ব্যবহারকারীর আপলোড করা সমস্ত ভিডিও, অর্থাৎ পূর্বের ভিডিও এবং নতুন রিলসগুলো একসঙ্গে দেখা যাবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই পরিবর্তনের ফলে ফেসবুকে রিলসের জন্য আর কোনো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বা ফরম্যাটের সীমাবদ্ধতা থাকছে না। যেহেতু এখন থেকে লম্বা ভিডিওগুলোও রিলস হিসেবেই বিবেচিত হবে, তাই রিলসের পুরোনো সংজ্ঞা পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে।
ফেসবুক জানিয়েছে, এই পরিবর্তনটি পর্যায়ক্রমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ব্যবহারকারীর জন্য চালু করা হচ্ছে।
ডিবিসি/এএনটি