নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় ফ্লোর তালাবদ্ধ না থাকলে এত প্রাণহানি হতো না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর প্রায় ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনও পুরোপুরি নেভেনি আগুন। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ৬তলা ভবনটির চতুর্থ তলায়। চতুর্থ তলা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ৪৯টি মরদেহ। চতুর্থ তলা থেকে ছাদে ওঠার সিঁড়িটি তালাবদ্ধ ছিলো এ কারণে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। চতুর্থ তলা থেকে নিচে নামার সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছিলো ভয়াবহ আগুন। এ কারণে এই ফ্লোরে অবস্থানরতরা নিচেও নামতে পারেনি উপরেও যেতে পারেনি। তবে, শ্রমিকরা ছাদে যেতে পারলে হতাহতের পরিমাণ কম হতো বলেও জানায় ফায়ার সার্ভিস।
বিল্ডিং কোড মেনে ভবনটি তৈরি করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিলো না এবং বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয়নি ভবনটি।
অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস জানায়, একেকটি ফ্লোরের আয়তন ৩৫ হাজার স্কয়ার ফুট। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় যাওয়ার চেষ্টা করছে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা। কিন্তু, ফ্লোরের আয়তন অনেক বড় হওয়ায় এবং ছোট ছোট কক্ষ থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে এখনও আগুন জ্বলছে এবং ধোঁয়া উঠছে যে কারণে ছাদেও ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রূপগঞ্জের ভুলতায় সজীব গ্রুপের সেজান জুস ও আচারের কারখানায় আগুন লাগে। ছয়তলা ভবনে প্লাস্টিক, ফয়েল, কাগজ, কার্টন, রেজিন, ভোজ্যতেলসহ খাদ্য তৈরির বিভিন্ন মালামাল ও প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় কারখানা থেকে শ্রমিকদের বের হতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা।