বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের স্বীকার ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ওই শিক্ষার্থী জানান, গতকাল অনার্স প্রথম বর্ষের ইম্প্রুভ পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন অযুহাতে শিক্ষক জাকিরুল বার বার তার কাছে আসেন। শিক্ষার্থী জানান, বিনা কারণে গায়ে হাত দেয়া ছাড়াও অশালীন ইঙ্গিত দেন। বিষয়টি পাশে থাকা আরেক ছাত্রীর নজরে এলে তার প্রতিবাদ করায় তিনিও অপদস্তের স্বীকার হন। পরে, পরীক্ষা চলাকালীন তারা কোনও প্রতিবাদ না করে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সাথে বিষয়টি আলোচনার পর রবিবার দুপুরে বাবাসহ সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এসে ওই দুই শিক্ষার্থী কলেজের আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেন।
দুই ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাজাহান আলী। দিনভর আলোচনা ও প্রাথমিক তদন্ত শেষে, ছাত্রীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার সত্যতা মিলেছে।
বৈঠক শেষে কলেজের অধ্যক্ষ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক এবং তার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, উপাধাক্ষ্য এবং সাধারণ শিক্ষক পরিষদের সেক্রেটারির উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বিবৃতি নেয়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও মোহাম্মদ শাহজাহান আলী। জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রভাষক জাকিরুলের বিরুদ্ধে বছর দুই আগেও এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। তবে, সে সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা শিক্ষক জাকিরুলের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
তবে, অভিযুক্ত শিক্ষক জাকিরুল ইসলামের দাবি গায়ে হাত দিলেও খারাপ কোনও উদ্দেশ্য ছিলোনা তার। বলেন, পরীক্ষার হলে বেঞ্চের বাইরে হাত আসায় কনুই ধরে তাকে সঠিক স্থানে বসতে বলি। জানান, গায়ে হাত দেয়া বলতে যা বোঝায় বা লাঞ্ছিত করার মতো তেমন কিছু না।