জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন

বগুড়ায় বিরল প্রজাতির পারুল গাছ

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২১শে মে ২০২১ ০৪:০৩:৪১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বগুড়ার সোনাতলার নাজির আখতার কলেজ প্রাঙ্গণে রয়েছে বিরল প্রজাতির পারুল গাছ। গবেষকরা বলছেন, পারুল পরিবারের বিভিন্ন জাতের দেখা মিললেও, দেশে একমাত্র মূল পারুল এই বৃক্ষটিই। কারো কারো মতে, আবার এশিয়া উপমহাদেশেও নেই দ্বিতীয়টি। দূর দূরান্ত থেকে বৃক্ষবিশারদদের পাশাপাশি গাছটি দেখতে আসছেন অনেকে।

পারুল গাছ নিয়ে লেখক, বৃক্ষপ্রেমী ও গবেষকদের আগ্রহের অন্ত নেই! ওয়াহিদুল হক দৈনিক সংবাদে ‘অথঃ পুষ্পকথা’ শিরোনামে প্রবন্ধ লিখে এর খোঁজ করেছিলেন।

নানা বিতর্ক, অনুসন্ধানের মধ্যে ২০১৬ সালে গাজীপুরে পারুলের প্রথম দেখা মিললেও তার অনেক পরে জানা যায়, এটি মূল পারুল নয়। লতা পারুল হিসেবে পরিচিত এই গাছের সন্ধান মেলে দেশের অনেক জেলায়। তবে, বগুড়ার সরকারি নাজির আখতার কলেজে শতবর্ষী এই বৃক্ষটিকে বিরল প্রজাতির দেশের একমাত্র পারুল বৃক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা।

বগুড়ার সোনাতলার সরকারি নাজির আখতার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, 'এই পারুল গাছটা শতবর্ষী ও বিরল প্রজাতির। এরকম গাছ আমাদের এশিয়া উপমহাদেশে নাই বললেই চলে। বাংলাদেশে তো নেই।'

পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুটি পারুলের চারা এনেছিলেন কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নূরুল হুদার বাবা নাজির উদ্দিন। একটিকে বাঁচানো না গেলেও আরেকটি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে কলেজ চত্বরে।

পাতা, ফুল ও ফল পরীক্ষা করে গাছটি বাংলাদেশের একমাত্র বিরল প্রজাতির পারুল গাছ হিসেবে মতামত দেন গবেষকরা।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের লেকচারার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, 'এর ফুলগুলোর পাপড়ির প্রান্তীয় এলাকা একদম সাদা। এবং দল ও নলের দিকে কিছুটা নীলাভ। মাটিতে পড়ার পর ফুলটার রঙ নীলাভ হয়ে যায়। এই বৃক্ষটির মৃত্যু হলে দেখা যাবে এটি বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে।'

এপ্রিল-মে মাসে গাছে ফুল ফোটে। চারপাশে ছড়িয়ে থাকে পারুলের সমারোহ। শতবর্ষী এই পারুল গাছ হয়ে স্থানীয়দের কাছে হয়ে উঠেছে গর্বের বিষয়।

টিস্যু কালচারের মাধ্যমে শতবর্ষী এই বিরল প্রজাতির গাছের চারা তৈরির চেষ্টা করছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন