বঙ্গবন্ধুর পলাতক পাঁচ খুনির তিনজন, কে কোথায় তার কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য সরকারের কাছে নেই।
নূর চৌধুরী কানাডায় আর রাশেদ চৌধুরী আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সরকারের সব মনোযোগ এখন এই দুই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির নিশ্চিত করায়। এরই মধ্যে রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় বাতিল চেয়ে অ্যাসালাইম মামলা সচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক পাঁচ খুনীর মধ্যে আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও রিসালদার মোসলেমউদ্দীন কে কোথায় আছেন তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। গত এপ্রিলে আবদুল মাজেদকে খুঁজে পেয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর জানা যায় সে কলকাতায় অবস্থান করছিল। তারপর গুজব উঠে ভারতে রিসালদার মোসলেমউদ্দীনের খোঁজ পাওয়া গেছে। ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবরও প্রকাশিত হয়।
তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে নূর চৌধুরী এবং রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে। রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার নথিপত্র চেয়েছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। একটি দেশে আশ্রয় পাওয়ার দীর্ঘ ১৫ বছর পর এভাবে মামলার নথি চাওয়া বিরল ঘটনা। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলছেন, এই ঘটনা খুনীদের শাস্তি কার্যকর করার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, যদি তারা রাজী থাকে তাহলে এসব খুনীদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী ভালো কিছুর জন্য। এখন দেখা যাক কি সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
আর আরেক খুনী নূর চৌধুরীর তথ্য না দেয়ার বিষয়ে কানাডা সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা পুনঃ বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার বলছেন, প্রক্রিয়া এগুচ্ছে।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যেভাবে পরামর্শ দেয়া হবে আমরা সেভাবেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবো।
সাজা পাওয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ১২ খুনীর মধ্যে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আর পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা গেছে আজিজ পাশা।