বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা দু'টি বইয়ের মেধাস্বত্ত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ত্ব জালিয়াতির অভিযোগে সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
তিন সদস্যের এই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মুজিববর্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের জন্য ৮টি বই কেনা হয়। আটটি বইয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনটি বই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে সাংবাদিক নাজমুলের প্রকাশনা সংস্থা জার্নি মাল্টিমিডিয়া ও স্বাধীকা পাবলিশার্সের বিরুদ্ধে।
"বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, কারাগারে ৩০৫৩ দিন, অমর শেখ রাসেল" এই তিনটি বই মেধাস্বত্ত্ব জালিয়াতি করে মোটা অঙ্কে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নাজমুলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি রিট করেন।
বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ রিটের প্রাথমিক শুনানি করে রুল জারি করে। রুলে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর নামে বই রক্ষণাবেক্ষণ না করায় দুই মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা কেনো বেআইনি হবে না।
রিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।