দেশের বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার, সুপেয় পানি ও ওষুধের সংকট।
মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর পানি কিছুটা কমলেও এখনও পানিবন্দি অন্তত ৩০ হাজার পরিবার। এরমধ্যে শনিবার শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় হঠাৎই আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে বিলিন হয়েছে কয়েকটি স্থাপনা।
উজানের ভারী বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা কবলিতদের। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা পানি বাহিত রোগে।
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও দুর্ভোগে জেলার আড়াই লাখ মানুষ। গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার ৮৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানিকগঞ্জে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও,পানিবন্দি অসহায় দিন কাটাচ্ছে অন্তত ৫০ হাজার পরিবার।
মুন্সিগঞ্জে পদ্মার পানি কমলেও, শাখানদীর মাধ্যমে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু গ্রাম। রাজবাড়ীতে এখনো ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। সিরাজগঞ্জে কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি। তবে খাবার, সুপেয় পানি, ওষুধের সংকটে দুর্ভোগে বানভাসীরা।
ভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন হচ্ছেন নদী পাড়ের অনেক মানুষ। এদিকে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।