ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বাঁধের গেট ভেঙে যাওয়ার কারণে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এর জন্য সরাসরি নয়াদিল্লিকে দায়ী করেছে ইসলামাবাদ।
শুক্রবার (২৯শে আগস্ট)দেশটির কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে এবং গেট ভেঙে দিয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
চলতি সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই মুষলধারে বৃষ্টির কারণে মারাত্মক বন্যার মুখোমুখি হয়েছে। আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার পূর্ব পাকিস্তান এবং দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে বন্যার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। এর ফলে ঝাং শহরটি ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারত থেকে নেমে আসা পানির তথ্য তাদের সাথে সঠিকভাবে ভাগ করা হচ্ছে না। পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, নদী বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী ভারতের যেভাবে পানি প্রবাহের তথ্য শেয়ার করা উচিত সেটি হচ্ছে না। পাকিস্তানকে তারা পর্যাপ্ত তথ্য দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, 'যদি আমাদের কাছে সঠিক তথ্য থাকত, তাহলে এই বন্যাকে আমরা আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারতাম। সিন্ধু চুক্তি কার্যকর থাকলে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হতো।'
গত ছয় দশক ধরে ভারত ও পাকিস্তান নদী বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী তথ্য আদান-প্রদান করে আসছিল। তবে পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর ২৬ জন পর্যটক নিহত হলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করে। যদিও পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।
তবে ভারত সরকার পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য সরবরাহের লুকোচুরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তারা স্বীকার করেছে যে মাধোপুর ব্যারেজের দুটি গেট ভেঙে গেছে, কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে পানি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তারা অস্বীকার করে।
ডিবিসি/এমইউএ