বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

বরগুনায় ডেঙ্গুতে উপজেলা পরিষদের নারী কর্মকর্তার মৃত্যু

বরগুনা প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২৮শে জুন ২০২৫ ০৫:১২:১২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বরগুনার পাথরঘাটায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পরিষদের চিফ অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিএ) সিরাজুম মুনিরা (৩২) মারা গেছেন।

শনিবার (২৮শে জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ভাণ্ডারিয়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

 

সিরাজুম মুনিরা চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের মোহাম্মদ মোজাম্মেল কাজীর মেয়ে ও সদর ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের বাসিন্দা মনির মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী—একজন ছেলে (১০) ও একজন মেয়ে (৬) রয়েছে।

 

উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন আগে মুনিরার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর গত বৃহস্পতিবার (২৬শে জুন) তাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (২৭শে জুন) রাতে তার প্লাটিলেট কমতে শুরু করে। অবস্থার অবনতি হলে আজ শনিবার (২৮শে জুন) সকালে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

 

মুনিরার মৃত্যুতে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মীরা জানান, তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ, সৎ ও দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা। তাঁর অকাল মৃত্যু প্রশাসনিক কাজে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে।

 

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৭৯ জনে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের, যার মধ্যে পাথরঘাটায় মৃত্যু হলো ২ জনের।

 

বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৫৭ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৮৫ জন রোগী, যাদের অনেকেই মেঝে, করিডর কিংবা সিঁড়ির পাশে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রিলিজ পেয়েছেন ৭৪ জন এবং মোট ভর্তি ছিল ২৫৯ জন।


বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, জেলায় ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও শয্যার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে। তবে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও মশার বংশবিস্তার রোধে সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

 

ডিবিসি/এএমটি

আরও পড়ুন