বর্ষার আগেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর ভাঙন। এতে নিঃস্ব হচ্ছেন হাজারো পরিবার। দীর্ঘ ৫০ বছরের ভাঙনে নিঃস্বদের ঠাঁই হয়েছে অন্যের বাড়িতে। ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি স্থানীয়দের। আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ হাতে নেয়া হয়েছে- বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর ভাঙন ক্রমেই তীব্র রূপ নিচ্ছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দিয়াকুল, কিস্তাকাঠি, আতাকাঠি, দেউরীসহ নলছিটির সরই, রাজাবারিয়া, রাজাপুরের মঠবাড়ি এবং বাদুরতলা গ্রামের বসতভিটা ও কৃষিজমি।
ভেঙে গেছে দিয়াকুলের তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ। গত ৫০ বছরেও নদীভাঙন রোধে নেয়া হয়নি কোন স্থায়ী উদ্যোগ। এতে প্রতি বর্ষায় নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো পরিবার।
এদিকে, ভাঙনরোধে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় একটি প্রকল্প চলমান থাকার কথা বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আরও প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার জন্যও চলছে প্রকল্প তৈরির প্রক্রিয়া।
দীর্ঘদিনের ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে অবিলম্বে টেকসই ও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি নদী তীরবর্তী অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্তদের।
ডিবিসি/ এমএ