কোটি কোটি ভক্তের ভালোবাসায় সিক্ত বলিউট সুপারস্টার আমির খান। ১৪ই মার্চ প্রথম প্রহর থেকেই ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবাসায় ভাসছেন আমির খান।
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট' খ্যাত আমির খানের ৫৬তম জন্মদিন আজ।
তাহির হোসেন ও জিনাত হোসেন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৬৫ সালের আজকের এই দিনে মুম্বাইয়ের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা আমির খান। তার পরিবার ভারতীয় চলচ্চিত্রের সাথে কয়েক দশক ধরে জড়িত। পিতা তাহির হুসেন ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং তার চাচা নাসির হুসেন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা। অভিনয়, প্রযোজনা, পরিচালনা ও টিভি উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে লাখো ভক্তের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
১৯৭৩ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে চাচা নাসির হোসেনের চলচ্চিত্র ‘ইয়াদো কা বারাত' সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তবে নায়ক হিসেবে তার আবির্ভাব ১৯৮৮ সালের ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমা দিয়ে। এ সিনেমা দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে আইডল হয়ে উঠেন আমির খান। আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
১৯৯০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দুর্দান্ত সফল ক্যারিয়ার ছিল আমির খানের। এ সময়ে তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘দিল’, ‘দিল হ্যায় কি মান্তা নেহিঁ’, ‘রঙ্গীলা’, ‘আন্দাজ আপনা আপনা’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘লগান’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ইত্যাদি।
২০০১ সালে স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর চলচ্চিত্র থেকে কিছুকালের বিরতি নেন আমির খান। ২০০৫ সালে ‘মঙ্গল পাণ্ডে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন তিনি।
২০০৬ সালে বিখ্যাত ‘রঙ দে বাসন্তি’ অনেক পুরস্কার এনে দেয় তাকে। একই বছর সাফল্য আনে ‘ফানা’। এরপর ‘তারে জমিন পর’ পুরস্কারের ঝুলি ভরে দেয় আমিরের। রঙ দে বাসন্তি ও তারে জামিন পর- দু’টি সিনেমাই অস্কারের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিল।
সময়ের পরিক্রমায় আমির নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডে তিন খানের রাজ্যের অন্যতম এক খান হিসেবে। তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। তারমধ্যে ‘মান’, ‘গোলাম’, ‘রাজা হিন্দুস্থানী’, ‘’, ‘গজনি’, ‘পিকে’, ‘দঙ্গল’ উল্লেখযোগ্য।
বলা বাহুল্য যে, আমির খানই ভারতের প্রথম শতকোটি রুপি আয়ের ক্লাবে প্রবেশ করা ছবির নায়ক। এছাড়া তিনিই বলিউডের সর্বকালের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার অভিনেতা। শুধু তাই নয়, ভারতের বাইরে আমির খানের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা চীনে। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এ দেশটির মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমার তালিকায় আমির খান অভিনীত ‘থ্রি ইডিয়টস’ আছে ১২তম স্থানে। এমনকি তার উপস্থাপানায় ‘সত্যমে জয়তে’ অনুষ্ঠানটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে দর্শকদের মাঝে।
করোনার দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আমির খান বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে তিনি ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমার পোস্ট প্রডাকশনের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এটি হলিউডের বিখ্যাত ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর অফিসিয়াল রিমেক সিনেমা।