সৌদি আরব সরকার বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে আসা এমন খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৮ই মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সৌদি আরব ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেনি। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত বিষয়টি ধর্মসচিবকে নিশ্চিত করেছেন।
“রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের এজেন্সিগুলোকে বিমান টিকেট ও হোটেল বুকিংয়ের কাগজপত্রসহ সৌদি ওমরাহ কোম্পানি বা এজেন্টের মাধ্যমে সেদেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।”
সংবাদ সম্মেলনের পর উপদেষ্টার বরাতে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকেট সংগ্রহকারী কোনো ওমরাহযাত্রী ভিসা না পাওয়ার কারণে সৌদি আরব যেতে না পারলে তাকে বিধি মেনে টাকা ফেরত দিচ্ছে বাংলাদেশ বিমান।
“সাউদিয়াসহ অন্যান্য এয়ারলাইনসকেও একইভাবে ভিসা জটিলতায় ওমরাহ পালনে অসমর্থ যাত্রীদেরকে টিকেটের টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।”
উপদেষ্টা বলেন, “সৌদি সরকারের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় চার শতাধিক সৌদি ওমরাহ কোম্পানিকে বিভিন্ন দেশের এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে। এসব কোম্পানির অনুকূলে প্রতিবছর ওমরাহযাত্রীর কোটা নির্ধারিত থাকে। এই কোটা শেষ হয়ে গেলে উক্ত কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।”
উপদেষ্টা বলেন, “দেশের ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না- এ বিষয়টি জানার পরপরই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে ডিও পাঠানো হয়।
“বিমানের টিকেট সংগ্রহ করেছেন, এমন ব্যক্তিরা যেন রমজান মাসেই ওমরাহ পালনে যেতে পারেনে, সেলক্ষ্যে জেদ্দায় বাংলাদেশ হজ কাউন্সিলর সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
ডিবিসি/এএনটি