গত সোমবার কলকাতার গোলফ গ্রিন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি মডেল শান্তা পালের বিরুদ্ধে এবার গুপ্তচরবৃত্তির সম্ভাব্য যোগসূত্র নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। অবৈধভাবে বসবাস এবং জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার মতো শান্তাও দেশের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন কিনা, সেই দিকটি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তে এই নতুন মোড় আসে শান্তা পালের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরীক্ষার পর। জানা গেছে, শান্তা ভারত-নেপাল-চীন সীমান্ত সংলগ্ন সিকিমের নাথু লা-র মতো স্পর্শকাতর এলাকায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে ভিডিও রেকর্ড করেন। তাঁর এই কার্যকলাপ পুলিশের সন্দেহ উস্কে দিয়েছে। তাই শান্তার ঘটনা এবং জ্যোতি মালহোত্রার ঘটনার মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে ভারতীয় ভ্রমণ ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছে সংবেদনশীল তথ্য পাচার করার অভিযোগ ওঠে। তিনিও ভ্রমণের আড়ালে বিভিন্ন স্থানের ছবি ও ভিডিও তুলে পাকিস্তানে পাঠাতেন বলে অভিযোগ।
তদন্তে জানা গেছে, শান্তা পাল বৈধ ভিসা নিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দেশে ফিরে না গিয়ে তিনি আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি কার্ডের মতো জাল ভারতীয় নথি তৈরি করেন। এরপর তিনি শুধু কলকাতাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেননি, মডেলিং ও অভিনয়ের মাধ্যমে মোটা টাকা উপার্জনও করছিলেন। গত কয়েক বছরে তিনি কয়েকটি বাংলা ও তামিল ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
গত সোমবার পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ তাঁকে গোলফ গ্রিনের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করে। পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় জমা দেওয়া নথি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর ফ্ল্যাট থেকে একাধিক বাংলাদেশি নথি উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
ডিবিসি/এমএআর