গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে দুজনের- মায়াঙ্ক যাদব ও নীতিশ রেড্ডি। বরুণ চক্রবর্তীর অভিষেক বলার সুযোগ নেই, জাতীয় দলের ক্যাপ পেয়েছেন সেই ২০২১ সালেই। তবে কর্ণাটকের এই রহস্য স্পিনারের মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘পুনর্জন্ম’ হয়েছে তার।
অভিষেকের বছরে ভারতের হয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন বরুণ। এর মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে এক উইকেট করে পেলেও পরের চার ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য।
এমন খরার পর ভারত দল থেকে যে বাদ পড়লেন, ফিরলেন তিন বছর পর বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে। আর ১০৬৫ দিন পর ফিরেই ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট! যেটা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ৭ উইকেটের বড় জয়ের পর সম্প্রচার টেলিভিশনে দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে কথা বলেন বরুণ। সেখানে ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে বলেছেন, ‘তিন বছর, লম্বা সময় পর ফিরলাম। এটা আমার জন্য আবেগপ্রবণ একটা ব্যাপার। ভারতের নীল জার্সিতে ফেরার অনুভূতিটা দারুণ। মনে হচ্ছে, এটা আমার পুনর্জন্ম।’
বরুণ বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেট পেতে পারতেন নিজের প্রথম ওভারেই। তবে তাওহিদ হৃদয়ের তোলা ক্যাচ নীতিশ মিস করে ফেলায় প্রথম উইকেটের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরের ওভারে ওই হৃদয়কেই আউট করেন হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যাচ বানিয়ে। পরে বরুণকে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন জাকের আলী আর রিশাদ হোসেনও।
দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বরুণের জন্য ৩ উইকেট নেওয়ার অর্থ অনেক বড়, ‘ফেরাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। একবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে মানুষ খুব সহজেই শেষ দেখে ফেলে। এ জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে হয়, বারবার জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে হয়। ভালো ব্যাপার হচ্ছে, আমার ক্ষেত্রে এবার তা কাজে লেগেছে। আশা করি, সামনেও ভালো করতে পারব।’
বরুণ ২০২৪ আইপিএলে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। শিরোপা জেতা দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত আগস্টে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ জেতেন ডিনডিগুল ড্রাগনসের হয়ে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নেতৃত্বাধীন দলটির হয়ে নেন ১২ উইকেট।
নিজের ফিরে আসার পথে আইপিএল ও তামিলনাড়ু লিগকে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মঞ্চ হিসেবে দেখেন বরুণ, ‘আমি নিজের প্রক্রিয়া আঁকড়ে থাকি। এটা আমি আইপিএলেও অনুসরণ করেছি। যে কারণে ম্যাচের সময় আমি বাড়তি কিছু ভাবি না। খুব বেশি উচ্ছ্বাসও দেখাই না।’
ডিবিসি/ এসএসএস