বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির রজতজয়ন্তী উদযাপন করছে। ২০০০ সালে সাদা পোশাকের বনেদী ফরম্যাটে পথচলা শুরু হলেও, গত ২৫ বছরে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির গল্পই বেশি বলে আক্ষেপ করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ড কর্তারা। তাদের কণ্ঠে উঠে এসেছে দেশের সার্বিক ক্রিকেট সিস্টেমের দুর্দশার চিত্র।
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত হয়। খেলাপ্রেমী থেকে শুরু করে ক্রিকেট না বোঝা মানুষও ক্রিকেটের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে। সেই উদ্দীপনা আর মাঠের লড়াইয়ের সাহস দেখেই ১৯৯৭ সালে আইসিসি বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেয়। এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ – ২০০০ সালে দেশের মাটিতে অভিষেক টেস্টে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
সাবেক ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন অপি উল্লেখ করেছেন, বিসিবি এখন একটি পেশাদার বোর্ড, তাদের ব্যাংকে হাজার কোটি টাকা আছে, ক্রিকেটারদের পরিচিতি এবং দেশে-বিদেশে বোর্ড কর্তাদের উঁচু গলা।
গত ২৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে হেঁটে চলেছে বাংলাদেশ। এই সময়ের মধ্যে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে টাইগাররা ক্রমেই শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলেও, সেই আলোর ঝলক টেস্ট ক্রিকেটে ক্রমশই ফিকে হয়ে আসতে শুরু করেছে। টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছরের পাওয়া-না পাওয়ার হিসাবই যেন সে কথা বলে দেয়।
বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনামও এই বিষয়ে কথা বলেছেন। বিসিবির ১৫ জন সাবেক সভাপতির মধ্যে নাজমুল হাসান পাপন টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির পর সবচেয়ে বেশি, এক যুগ ধরে সভাপতির চেয়ার আগলে রেখেছিলেন। এই দাপুটে সভাপতির আমলে ক্রিকেট উন্নয়নে অনেক কিছুই সম্ভব ছিল, কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। তাই টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আক্ষেপ নাকি ক্ষোভ উগলে দিয়েছেন, তা বলা মুশকিল।
ক্রিকেট পাগল জাতি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা তবুও আশায় বুক বাঁধেন, স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ একদিন বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে। তাদের এই প্রত্যাশাই অযুত শক্তির উৎস।
ডিবিসি/আরএসএল