ইতিমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত, এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশ করার টার্গেট নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে লিটন দাসের দল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দ্বিতীয় ম্যাচে স্নায়ুচাপ ধরে রেখে ৮ রানের এক রুদ্ধশ্বাস জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। পরপর দুই জয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকা বাংলাদেশ দল এখন বেশ নির্ভার। পরিসংখ্যান বলছে, এই সিরিজে মাঠে নামার আগে পাকিস্তানের বিপক্ষেই দুইবার টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২১ সালে দেশের মাটিতে এবং চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানে গিয়েও একই ভাগ্য বরণ করতে হয় টাইগারদের। এবার সেই পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ লিটন বাহিনীর সামনে। যদিও ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, তবে টি-টোয়েন্টিতে এমন কীর্তি গড়া হবে এবারই প্রথম।
এই সিরিজ জয় অধিনায়ক লিটন দাসের জন্যও একটি বড় মাইলফলক। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তার দল এবং সেই ছন্দ ধরে রেখে এবার শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জিতল। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশ প্রথম ধবলধোলাই করে আয়ারল্যান্ডকে, ২০১২ সালে। এরপর জিম্বাবুয়ে, আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। আজ জিততে পারলে অধিনায়ক হিসেবে দুই সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করার রেকর্ডে সাকিব আল হাসানের পাশে নাম লেখাবেন লিটন দাস।
সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের আগে এটিই বাংলাদেশের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তাই পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আসন্ন টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি সারতে চায় টিম টাইগার্স।
ডিবিসি/এফএইচআর