২৫০ শয্যার বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালটি এখনও চলছে ১০০ শয্যার জনবল ও বরাদ্দে। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-নার্স ও টেকনিশিয়ান নেই, রয়েছে ওষুধের ঘাটতি এবং তালাবদ্ধ আইসিইউ। নার্স দিয়েই চলছে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা।
সবমিলিয়ে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি চরম সঙ্কটে রয়েছে। ১৯৭০ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল। ১৯৯৭ সালে ১০০ বেডে এবং সবশেষ ২০২২ সালে উন্নীত হয় ২৫০ শয্যায়। তবে বিশাল অবকাঠামো নির্মাণ হলেও আগের ১০০ শয্যার জনবল ও বরাদ্দেই চলছে হাসপাতালটি। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন প্রায় এক হাজার রোগী।
২৫০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি থাকে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন। হাসপাতালে ৫৬টি চিকিৎসকের পদ বরাদ্দ থাকলেও ২৮টি-ই শূন্য। এছাড়া নার্সের ৯৮টি পদের মধ্যে ৩২টি এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৭৭টির মধ্যে ৪৪টি পদে জনবল নেই। শুধু জনবল সংকট নয়, অর্থ ও প্রয়োজনীয় ওষুধেরও রয়েছে প্রবল সংকট। ১০ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নেই দক্ষ জনবল।
নার্সিং অফিসার ফয়সাল ফারাবি জানান, চিকিৎসক সংকটে জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন নার্সিং অফিসাররা।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, নার্স দিয়ে জরুরি বিভাগের সেবার বিষয়টি নজরে এসেছে। হাসপাতালটির জনবল ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করে বাগেরহাটবাসীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করবে কর্তৃপক্ষ, এমনটাই প্রত্যাশা জেলাবাসীর।
ডিবিসি/ এইচএপি