বাগেরহাটে টমেটো গাছে অজানা রোগের সংক্রমণ নিয়ে কৃষকরা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। অন্যদিকে, বাজারে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো টমেটোর দাপটের কারণে প্রকৃত কৃষকের উৎপাদিত টমেটোর চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা বিপর্যস্ত। কৃষি অফিসের উদাসীনতায় কৃষকরা সর্বস্ব হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন।
টমেটো চাষ করে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখা বাগেরহাটের কৃষকদের কষ্টের ফসলে অজানা রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেলার চিতলমারী উপজেলায় টমেটো গাছে রোগাক্রান্ত হয়ে একের পর এক গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে এবং ফল ঝরে পড়ছে।
এর বাইরে, কিছু অসাধু চাষি কেমিক্যাল মিশিয়ে কৃত্রিমভাবে টমেটো পাকিয়ে বাজারজাত করায় মাঠের কৃষকরা নতুন সমস্যায় পড়েছেন। এতে প্রকৃত কৃষকের উৎপাদিত টমেটোর চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কৃষি অফিসের উদাসীনতা, দুর্বল নজরদারি ও তদারকির অভাবে পুরো মৌসুম হুমকির মুখে পড়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।
যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন বলছেন, মাইকিং করে কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বছর বাগেরহাটে মোট ২,১৬৫ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে, যার মধ্যে শুধু চিতলমারী উপজেলাতেই চাষ হচ্ছে ৮৬০ হেক্টর জমিতে।
ডিবিসি/আরএসএল