প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদন ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা। বিশ্লেষকরা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বললেও, বাজেটে সেই তুলনায় উদ্যোগ নেই। নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বছরের পর বছর এই খাতে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার।
এমন পরিস্থিতে আগামী অর্থ বছরের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর কথা বলছেন অর্থ উপদেষ্টা। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না বলেও জানান তিনি।
২০৪০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩০ ভাগ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ১০ শতাংশ ব্যয় কমাতে পারলে ভর্তুকি কমবে ১১ হাজারো কোটি টাকা। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরো জোরালো পদক্ষেপের পরামর্শ আইইইএফএ'র, প্রধান জ্বালানি বিশ্লেষক,শফিকুল আলমের। টেকসই জ্বালানি খাত গড়তে পারলে অর্থনীতিতে আরো গতি আসবে বলেও মনে করেন তিনি।
বিগত সরকারে ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বড় অঙ্কের বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। বিশাল এই বাজেট বরাদ্দ গ্রাহকে কতটা সস্বত্বি দেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ডিবিসি/এনএসএফ