মরুর প্রাণী দুম্বা দেশেই পালন করা সম্ভব, আর তা খুব একটা কঠিনও নয়। বাণিজ্যিকভাবে পালন করতে পারলে বেকারত্ব কমানোর পাশাপাশি এটি হয়ে উঠতে পারে রপ্তানি আয়ের উৎস।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গরু ও ছাগলের পাশাপাশি দুম্বা পালন করছেন খামারি ও উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন। প্রথমে ভারত থেকে দুটি দুম্বা এনে শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে রয়েছে কুয়েত-রাশিয়াসহ নানা দেশের দুম্বা।
সাদেক এগ্রো ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান হোসেন বলছেন, ছাগলের মতই লালন-পালন করা যায় দুম্বা। আর দেশের আবহাওয়াতেও তাদের পরিচর্যায় সমস্যা হয় না। অনেক যুবক উদ্যোক্তারা এটাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আরও যদি ব্যাপকভাবে দুম্বা পালন প্রসার করতে হবে। কারণ দুম্বা পালন করা অনেক সহজ। দেশে যে ঘাস-পাতা পাওয়া যায়, তা খাইয়ে দুম্বা পালন করা যায়। দানাদার খাবার না হলেও চলে। সাধারণত ছাগল থেকে দুম্বা অনেক বেশি তাপ সহিষ্ণ প্রাণী। সহজে মারা যায়না।
দেশের বাজারে একেকটি দুম্বার দাম ১ থেকে ৪ লাখ টাকা। গ্রামাঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে দুম্বা পালন হতে পারে লাভজনক, মাংস রপ্তানি করে আয় করা যেতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা।
সাদেক এগ্রো ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান হোসেন আরও বলেন, 'দুুুম্বা খেতে অনেক সুস্বাদু। এবং খাওয়ার জন্য অনেক উপযোগী। আমাদের দেশের দুম্বা বিদেশেও রপ্তানি করাও সম্ভব। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে দুম্বার চাহিদা অনেক। কোরবানী ঈদের পাশাপাশি সাড়া বছরই দুম্বার চাহিদা লেগেই থাকেঅ'
বাণ্যিজকভাবে দুম্বা পালন দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য হয়ে উঠতে পারে একটি লাভজনক বিনিয়োগ মাধ্যম।