বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় উসাইশ্বে মারমা (১৮) নামের এক যুবককে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার দুদিন পর রবিবার (২৭শে জুলাই) তারাছা খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের দুই বন্ধুকে আটক করা হয়েছে।
নিহত উসাইশ্বে মারমা রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪নং নয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বেক্ষ্যং পাড়ার বাসিন্দা শৈচনু মারমার ছেলে। আটককৃতরা হলেন ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শীলবান্ধা পাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য সিংনুমং মারমার ছেলে উনুসিং মারমা (২৬) এবং একই পাড়ার লোওয়াইসাং মারমার ছেলে হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে নিহত উসাইশ্বে তার দুই বন্ধু উনুসিং ও হ্লাথোয়াইহ্রীর সাথে শীলবান্ধা পাড়ায় মদ্যপান করেন। গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উনুসিং ও হ্লাথোয়াইহ্রী মিলে উসাইশ্বে মারমাকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এবং লাশ পার্শ্ববর্তী তারাছা খালে ফেলে দেয়।
ঘটনার পর উসাইশ্বে নিখোঁজ হলে তার পরিবার ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অবশেষে রবিবার দুপুরে তারাছা খালের বেক্ষ্যং ওয়াব্রা ক্রী এলাকা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, "গত শুক্রবার মদ্যপানকে কেন্দ্র করে বন্ধুদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দুই দিন পর খাল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুর করিম জানান, "কথা কাটাকাটির জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তারাছা খালের বেক্ষ্যং ওয়াব্রা ক্রী থেকে যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।"
ডিবিসি/আরএসএল