রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে শার্ট-ক্যাপ পরিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে রাত্রিযাপন করা ওই শিক্ষার্থীর আসন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার ১৭ দিন পর আজ শনিবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ওই শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিল হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৪ জুন রাতে ওই ছাত্র তার নারী সহপাঠীকে শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরিয়ে নিজ হলে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।
হল থেকে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি মাদারীপুরের বাসিন্দা। তার সহপাঠীও একই বিভাগের শিক্ষার্থী।
হলের প্রত্যক্ষদর্শী দুজন শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তা প্রহরি জানান, গত ৪ই জুন ভোরে একটি ছাত্র সাইকেল চালিয়ে হল থেকে তাদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তার সাইকেলের পেছনে একটি মেয়ে বসা ছিল, তার গায়ে শার্ট আর মাথায় ক্যাপ পড়া ছিল। বিষয়টি অস্বাভাবিক লাগায় তাকে ধরার চেষ্টা করেন তারা, কিন্তু ব্যর্থ হন।
শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মোতাহার হোসেন বলেন, হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছিল। তবে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে অবস্থান করায় জবাবদিহি করা যায়নি। পরে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে ডেকে জবাবদিহি করা হয়। ঘটনাটি স্বীকার করায় তার হলের আসন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, সেখানে তার বিরুদ্ধে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে নাজমুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাজমুল নন বলে কল কেটে দেন। অবশ্য এর আগে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, গত ৩রা জুন তার জন্মদিন ছিল। সেদিন জন্মদিন পালন করতে গিয়ে রাত হয়ে যায়। এদিকে ওই নারী শিক্ষার্থীকে ঈদের ছুটির জন্য মেস থেকে তিন তারিখের মধ্যে চলে যেতে বলা হয়। ওই নারী শিক্ষার্থী মেসে যেতে পারবে না বলে তাকে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। পরে তাকে রাতে হলে নিয়ে আসেন। মূলত তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য হলে নিয়ে এসেছিলেন।
ডিবিসি/কেএলডি