মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের নির্মাণকার্যের জন্য জমা পড়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি। বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ডাকে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই ৪ কোটি টাকারও বেশি অর্থ জমা পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৯ই ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত শুধুমাত্র ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া’র ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই জমা পড়েছে ৩ কোটিরও বেশি টাকা। কিউআর কোড এবং অনলাইন ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই অর্থ এসেছে।
অন্যদিকে, গত ৬ ও ৭ই ডিসেম্বর দানপাত্রে জমা পড়া নগদ টাকা গোনা হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ৬৫ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। ৭ তারিখের পর থেকে দানপাত্রে আরও প্রচুর টাকা জমা পড়লেও তা এখনও গোনা হয়নি। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সেই টাকা গোনার কাজ শুরু হবে। সব মিলিয়ে মোট জমা ৪ কোটি ছাড়িয়েছে।
মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে মানুষের আবেগও চোখে পড়ার মতো। কেউ নিজের জমানো লক্ষ্মীর ভাঁড় নিয়ে আসছেন, আবার কেউ সাধ্যমতো নোট দান করছেন। টাকার পরিমাণ এতটাই যে তা গুনতে মেশিনের সাহায্য নিতে হচ্ছে।
বিধায়ক আরও দাবি করেন, কাতার, সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ থেকেও অনেকে অনুদান পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করেছেন। বিদেশ থেকে টাকা আনার আইনি প্রক্রিয়া ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ঠিক করতে এসবিআই এর আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।
এই বিপুল অনুদান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, 'এই টাকা আসলে তৃণমূলেরই টাকা। ভোট লুঠ করে জিততে না পারলে পশ্চিমবঙ্গকে 'পশ্চিম বাংলাদেশ' বানানোর এটা প্ল্যান বি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া হুমায়ুন কবীরের একার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়।'
বিতর্ক সঙ্গী করেই এখন মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের আদলে কাঠামো তৈরির তোড়জোড় চলছে পুরোদমে।
ডিবিসি/এনএসএফ