জেলার সংবাদ

বাবার চেয়ে মেয়ে বড়!

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২৮শে অক্টোবর ২০২৩ ০৪:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বয়সের ভারে চলাফেরা দায় মো. আ. জলিলের। তার সামান্য আয়ে কোনোরকমে কাটছে জীবন। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তার বয়স ৪৫ বছর। আ. জলিলের ভাষ্য মতে, তার জন্ম ১৯৭৭ সালে। তার মেয়ের জন্ম ১৯৭২ সালে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবার চেয়ে মেয়ে পাঁচ বছরের বড়।

আ. জলিলের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়নের নিজধারা গ্রামে। 

তার পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র ঘেঁটে জানা গেছে, আ. জলিলের (জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে) জন্ম ১৯৭৭ সালের ২ এপ্রিল। তাঁর বড় মেয়ে মলোদা খাতুনের  জন্ম  ১৯৭২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দেখানো হয়েছে। এ হিসাবে দেখা যায়, বাবার পাঁচ বছর আগে মেয়ের জন্ম হয়েছে। 

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আ. জলিল। তিনি বলেন, ‘আমারে দেখলে কি ৪৫ বছরের মনে অয়? আমি সরকারের কিছু পাই না বয়সটার লাইগা।’ 

বৃদ্ধ আ. জলিলের ছোট বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স দেখানো হয়েছে ১৯৫৪ সালে, ছোট ভাই আ. হালিমের বয়স ১৯৩৫ সালে ও স্ত্রী তহুরা খাতুনের জন্ম ১৯৫৫ সালে। বয়সের হেরফেরে বিপাকে পড়েছেন আ. জলিল। সংশোধন করতে গিয়ে পড়েছেন বিড়ম্বনায়। নানা কাগজপত্র জমা দেওয়ার বেড়াজালে বয়সটাই সংশোধন হয়নি। করতে পারছেন না সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কোনো ভাতা কার্ড। 

ভুক্তভোগী আ. জলিল আলী বলেন, ‘আমার প্রকৃত বয়স ৭০ বছর হলেও আইডি কার্ড অনুযায়ী বর্তমান বয়স মাত্র ৪৫ বছর। এ আইডি কার্ড দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আইডি কার্ডে ভুলের কারণে পদে পদে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংশোধনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরে  আমি এখন নিরুপায়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রাজিবুল করিম জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সংশোধনের আবেদন করলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।



ডিবিসি/কেএমএল

আরও পড়ুন