দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র বারি লাউ-৪ এর ফলনে সফলতা অর্জন করেছে। এই বারি-৪ জাতের লাউয়ের ফলন হয়েছে ব্যাপক আকারে। কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাষিরা চাইলে বিনামূল্যে এই জাতের বীজ বা চারা সংগ্রহ করতে পারবেন এবং ব্যাপক লাভবান হতে পারবেন।
পাহাড়ি এলাকার মাটি বিভিন্ন জাতের ফসল চাষের জন্য বেশ উপযোগী এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে আবাদি জমিও রয়েছে। রাইখালির কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মাঠে মাচাং জুড়ে চাষ করা হচ্ছে বারি-৪ জাতের লাউ। এই লাউয়ের ফলগুলো গাঢ় সবুজ রঙের এবং গায়ে সাদাটে দাগ থাকে।
রাইখালির কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়, যার গড় ওজন প্রায় আড়াই কেজি। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা সম্ভব। এই জাতটি তাপ সহিষ্ণু হওয়ায় সারা বছর জুড়ে চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় চাষিরা বিনামূল্যে এই জাতের লাউয়ের বীজ বা চারা গবেষণা কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। পাহাড়ে চাষ উপযোগী ফসলের জাত এবং অন্যান্য কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এই কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে।
ডিবিসি/আরএসএল