নতুন বাজেটে প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ব্যয়ের বড় অংশ খরচ হচ্ছে সুদ পরিশোধে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বেড়েছে বরাদ্দ।
নতুন প্রস্তাবিত বাজেট জিডিপি'র ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। প্রস্তাবিত বাজেটে সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণ সহনীয় পর্যায়ে থাকছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি'র ৩.৬ শতাংশ।
ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস হতে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস হতে ঋণ নেওয়া হবে।
আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় মোট ৪৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরে আছে ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতে গতবারের চেয়ে সামান্য বেড়ে ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, গেল অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এবারের বাজেটেও সরকারি ঋণের চাপে থাকছে ব্যাংক খাত। এতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডিবিসি/এনএসএফ