বাংলাদেশ, জাতীয়

বাড়লো গ্যাসের দাম: এক চুলা ৯৯০, দুই চুলা ১০৮০ টাকা

ফারুক

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ৫ই জুন ২০২২ ১০:০৬:২৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আবাসিকে গ্যাসের এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। বর্ধিত মূল্য জুন মাস থেকে প্রযোজ্য ও কার্যকর হবে এবং পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

রবিবার (৫ই জুন) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক। অন্যদের মধ্য অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।


আবু ফারুক বলেন, আবাসিকে এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটারপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে  বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।



তিনি জানান, সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ল গ্যাসের দাম।



এর আগে ২০১৯ সালে জুলাই মাসে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন পাইকারি দাম ঘনমিটারপ্রতি ১২ দশমিক ৬০ টাকা করা হয়। ভর্তুকি দিয়ে ৯ দশমিক ৭০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি। নতুন ঘোষণায় গড় মূল্য ১৬ দশমিক ৩০ টাকা করা হয়েছে। 



সিএনজি গ্রাহকের মূল্যহার অপরিবর্তিত থাকবে।



বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গত মার্চ মাসে টানা চারদিন গণশুনানি করে বিইআরসি। ওই সময়  বিইআরসি’র কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দেয়। যদিও ওই গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলো মূল্য বৃদ্ধির বিরোধিতা করে।

 

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, গ্যাস বিতরণকারী প্রতিটি কোম্পানি লাভে রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় জনগণের বাড়তি দাম দেয়ার সামর্থ্য নেই। 



বরং বর্তমান অবস্থায় গ্যাসের দাম কমানো যায়। সরকার ভাট-ট্যাক্সসহ নানাভাবে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। কোন কোম্পানি কত ডিভিডেন্ট দিবে সেই সিদ্ধান্তও চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা মুনাফা তুলে দিচ্ছে আর কোম্পানিগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে গ্রাহকের কাছে টাকা চাইছে। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিস্টেম লস ও অনিয়ম বন্ধ করা হলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। বরং এসব অপচয় রোধ করা গেলে বিদ্যমান দামেই লাভ করতে পারবে বিতরণ কোম্পানি।

 

 

আরও পড়ুন