বিবিধ, আইন ও কানুন

বাড়িওয়ালা অকারণে ভাড়া বাড়ালে কী করবেন?

Faruque

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৬ই জানুয়ারী ২০২২ ১২:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ঢাকায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় অনেক বেশি। বেতনের অধিকাংশ টাকা চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। এর মধ্যেই অনেক বাড়ির মালিক অযথা কোনো কারণ ছাড়ায় এক বছর বা ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়িয়ে থাকেন।

ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এ ধরনের সমস্যায় আইনি ব্যবস্থা নিলে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন। 

কীভাবে প্রতিকার পাবেন

বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করলে আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ বা আরজি দায়ের করতে পারেন। 

বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের বা আরজির শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।

বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ালেও তা হতে হবে যুক্তিসঙ্গত। 

এছাড়া মাসিক ভাড়া নিয়ে কোনো লিখিত চুক্তি না থাকলে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে।

যা করবেন

১. মানি অর্ডারযোগে প্রেরণ করা ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালা যদি গ্রহণ না করেন, পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে

২. একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে

৩. ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেয়া যাবে

৪. আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি বলার সুযোগ থাকবে না

৫. বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেয়া হলো এবং করণীয় কী, সেসব নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। চুক্তিপত্রে ভাড়া বাড়ানো, অগ্রিম জমা ও কখন বাড়ি ছাড়বেন তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

৬. আর প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।

 ভাড়া আইন সনের নং )

 ভাড়া জন্য সুষ্ঠু প্রণয়নের প্রণীতযেহেতু ভাড়া জন্য সুষ্ঠু প্রণয়ন  সমীচীন প্রয়োজনীয়সেহেতু নিম্নরূপ করা :-

 শিরোনামা প্রবর্তন) এই বাড়ী নিয়ন্ত্রণ, ১৯৯১ অভিহিত) ধারা, ২৪, ২৬ ২৭ জানুয়ারী ইং কার্যকর বলিয়া হইবে অবশিষ্ট যে এলাকায় মার্চ তারিখে ছিল সকল ২৭শে, ১৯৮৯ বলবত্ বলিয়া হইবেতবে থাকে, সরকার গেজেটে দ্বারা কোন এই বা অংশবিশেষ নির্ধারিত হইতে করার দিতে, এবং প্রজ্ঞাপন এই বা কোন প্রজ্ঞাপনে তারিখ কোন প্রযোজ্য না নির্দেশ পারিবে৷

(ক) “নিয়ন্ত্রক” অর্থ ধারা ৩(১) এর অধীন নিযুক্ত কোন নিয়ন্ত্রক, এবং ধারা ৩(২) এর অধীন নিযুক্ত কোন অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রক ও উপনিয়ন্ত্রকও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(গ) “বাড়ী” অর্থ কোন দালান বা দালানের অংশবিশেষ বা কোন কাঁচা ঘর বা ঘরের অংশবিশেষ, যাহা আবাসিক বা অনাবাসিক বা উভয় উদ্দেশ্যে আলাদাভাবে ভাড়া দেওয়া হইয়াছে বা ভাড়া দেওয়ার ইচ্ছা করা হইয়াছে, এবং তত্সংলগ্ন বাগান, উঠান ও কাছারী ঘরও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(ঙ) “ভাড়াটিয়া” অর্থ কোন ব্যক্তি যাহার দ্বারা বা যাহার পক্ষে কোন বাড়ীর জন্য ভাড়া প্রদেয় হয় এবং Code of Civil Procedure, 1908 (V of 1908) এ সংজ্ঞায়িত আইনগত প্রতিনিধি (Legal representative) এবং ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ও বাড়ী দখলকারী কোন ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(ছ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি৷

নিয়ন্ত্রকইত্যাদিনিয়োগ: 

৩৷১এইআইনদ্বারাবাউহারঅধীননিয়ন্ত্রকেরউপরঅর্পিতক্ষমতাপ্রয়োগওদায়িত্বপালনেরজন্যসরকারসরকারীগেজেটেপ্রজ্ঞাপনদ্বারাকোনব্যক্তিকেকোনএলাকারজন্যনিয়ন্ত্রকনিযুক্তকরিতেপারিবে৷

() ,    ,         -   ৩নিয়ন্ত্রকতাহারযেসমস্তদায়িত্বঅতিরিক্তনিয়ন্ত্রকবাউপনিয়ন্ত্রকেরনিকটঅর্পণকরিবেনতাহারাকেবলসেইসকলদায়িত্বপালনকরিবেনএবংএইদায়িত্বপালনেঅতিরিক্তনিয়ন্ত্রকবাউপনিয়ন্ত্রকউপধারা৪এউল্লিখিতবিষয়াদিব্যতীতনিয়ন্ত্রকেরসকলক্ষমতাপ্রয়োগএবংদায়িত্বপালনকরিবেন৷

() -

()            -    , খঅতিরিক্তনিয়ন্ত্রকবাউপনিয়ন্ত্রকেরনিকটনিষ্পন্নাধীনযেকোনমামলাপ্রত্যাহারকরিয়াউহানিজেইনিষ্পত্তিকরিতেপারিবেনবানিষ্পত্তিরজন্যঅন্যকোনঅতিরিক্তনিয়ন্ত্রকবাউপনিয়ন্ত্রকেরনিকটহস্তান্তরকরিতেপারিবেন৷

কতিপয়দরখাস্তেরচূড়ান্তশুনানী:

৪৷১এইআইনেরঅধীননিয়ন্ত্রকেরনিকটপেশকৃতপ্রত্যেকটিদরখাস্তেরশুনানীতিনমাসেরমধ্যেসম্পন্নকরিতেহইবে৷

() - ()      ,  ()              ৩যদিকোনবিশেষকারণেউপধারা১ও২এউল্লিখিতসময়েরমধ্যেকোনদরখাস্তেরশুনানীসম্পন্নকরাসম্ভবনাহয়তাহাহইলেনিয়ন্ত্রকউহারকারণলিপিবদ্ধকরিয়াউক্তসময়েরপরযতশীঘ্রসম্ভবদরখাস্তেরশুনানীসম্পন্নকরিবেন৷

()          ,        ,         ৫নিয়ন্ত্রকতাহারনিষ্পন্নাধীনপ্রত্যেকমামলায়কোনপক্ষেরঅনুকূলেবাপ্রতিকূলেযুক্তিসংগতখরচপ্রদানেরজন্যআদেশদিতেপারিবেনএবংউহাসরকারীপাওনাহিসাবেআদায়যোগ্যহইবে৷

বাড়ীমালিকওভাড়াটিয়ারপ্রতিনোটিশ: ৫৷১এইআইনদ্বারাঅর্পিতকোনক্ষমতাপ্রয়োগেরপূর্বেনিয়ন্ত্রকউক্তক্ষমতাপ্রয়োগকরারঅভিপ্রায়ব্যক্তকরিয়াবাড়ীমালিকওভাড়াটিয়াযদিথাকেএরনিকটরেজিিষ্ট্রকৃতডাকযোগেনোটিশপ্রদানকরিবেনএবংউক্তনোটিশেরএকটিঅনুলিপিতাহারঅফিসেরকোনপ্রকাশ্যস্থানেলটকাইয়াদিবেন৷

()                              (ক) যেক্ষেত্রে উক্ত বাড়ী সম্পর্কে ধারা ১৫ এর অধীন নিয়ন্ত্রক কর্তৃক মানসম্মত ভাড়া নির্ধারণ করা হইয়াছে, নির্ধারিত মানসম্মত ভাড়া;

(খ) যেক্ষেত্রে অনুরূপ মানসম্মত ভাড়া নির্ধারণ করা হয় নাই, বাড়ী-মালিক এবং ভাড়াটিয়ার মধ্যে চুক্তিকৃত ভাড়া৷

কতিপয় পরিস্থিততে ভাড়াটিয়া কর্তৃক ভাড়া জমা:   ১৯৷ (১) যেক্ষেত্রে কোন বাড়ী-মালিক ভাড়াটিয়া কর্তৃক ডাক মনি অর্ডার যোগে প্রেরিত ধারা ১৮ এ উল্লিখিত কোন ভাড়া গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন, সেক্ষেত্রে-

(ক) ডাক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবিলিকৃত বলিয়া উক্ত ভাড়া যে তারিখে ভাড়াটিয়ার নিকট ফেরত্ দেওয়া হয় সেই তারিখ হইতে পনর দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়া উহা জমা দিতে পারিবেন; এবং

(খ) বাড়ীর পরবর্তী সময়ের প্রাপ্য ভাড়া গ্রহণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া বাড়ী-মালিক লিখিত নোটিশ দ্বারা তাহাকে অবহিত না করিলে, ভাড়াটিয়া পরবর্তী সময়ের ভাড়াও উহা প্রদেয় হইবার তারিখের পনের দিনের মধ্যে বা ধারা ১৮(৫) এর অধীন যে তারিখে উহা প্রদেয় হয় সেই তারিখ অতিবাহিত হইবার পনর দিনের মধ্যে, ডাক মনি অর্ডার যোগে উহা প্রেরণ খরচসহ, জমা দিতে পারিবেন৷

(২) যেক্ষেত্রে ধারা ১৮ এ উল্লিখিত ভাড়া গ্রহণ করার অধিকারী ব্যক্তি সম্বন্ধে কোন প্রকৃত সন্দেহ বা বিবাদ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে ভাড়া প্রদেয় হইবার তারিখের পনর দিনের মধ্যে বা ধারা ১৮(৫) এর অধীন যে তারিখে উহা প্রদেয় হয় সেই তারিখ অতিবাহিত হইবার পনর দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়া-

(ক) উক্ত ভাড়া জমা দিতে পারিবেন; এবং

(খ) আদালতের সিদ্ধান্ত বা পক্ষগণের মধ্যে আপোষের দ্বারা উক্ত সন্দেহ দূর বা বিবাদ মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বাড়ীর পরবর্তী সময়ের ভাড়াও জমা দিয়া যাইতে পারিবেন৷

(৩) যেক্ষেত্রে বাড়ী-মালিক তাহার সচরাচর বসবাসের স্থান ত্যাগ করেন এবং তাহার ঠিকানা ও অবস্থান ভাড়াটিয়ার জানা না থাকে এবং ভাড়াটিয়ার জামানত ধারা ১৮তে উল্লিখিত ভাড়া গ্রহণ করার জন্য বাড়ী-মালিকের কোন প্রতিনিধি নাই সেক্ষেত্রে উক্ত ভাড়া প্রদেয় হইবার তারিখের পনর দিনের মধ্যে বা ধারা ১৮(৫) এর অধীন যে তারিখে উহা প্রদেয় হয় সেই তারিখ অতিবাহিত হইবার পনর দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়া-

(ক) উক্ত ভাড়া জমা দিতে পারিবেন; এবং

(খ) বাড়ী-মালিকের ঠিকানা ও অবস্থান ভাড়াটিয়ার জানা না হওয়া পর্যন্ত বাড়ীর পরবর্তী সময়ের ভাড়া ও জমা দিয়া যাইতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ জমা সম্পর্কে প্রথম জমা দিবার সাত দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়ার খরচে নিয়ন্ত্রক কর্তৃক বাড়ী-মালিককে তাহার সর্বশেষ জানা ঠিকানায় রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে নোটিশ দিতে হইবে৷

(৪) যেক্ষেত্রে কোন বাড়ী-মালিককে কোন টাকা প্রদান করা বা তাহার নামে টাকা জমা করা Foreign Exchange Regulation Act, 1947 (VII of 1947) এর বিধান অনুযায়ী নিষিদ্ধ সেক্ষেত্রে উক্ত ভাড়া প্রদেয় হইবার তারিখের পনর দিনের মধ্যে বা ধারা ১৮(৫) এর অধীন যে তারিখে উহা প্রদেয় হয় সেই তারিখ অতিবাহিত হইবার পনর দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়া-

(ক) ধারা ১৮ এ উল্লিখিত ভাড়া জমা দিতে পারিবেন; এবং

(খ) বাড়ীর পরবর্তী সময়ের প্রদেয় ভাড়াও জমা দিয়া যাইতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ জমা সম্পর্কে প্রথম জমা দিবার সাত দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়ার খরচে নিয়ন্ত্রক কর্তৃক বাড়ী-মালিককে তাহার বর্তমান ঠিকানায় বা উহা জানা না থাকিলে তাহার সর্বশেষ জানা ঠিকানায় রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে নোটিশ দিতে হইবে৷

(৫) উপ-ধারা (১), (২), (৩) বা (৪) এর অধীন প্রত্যেক জমা নিয়ন্ত্রকের নিকট দিতে হইবে এবং উহার সহিত একটি দরখাস্ত পেশ করিতে হইবে যাহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি উল্লেখ থাকিবে, যথা :-

(ক) যে বাড়ীর ভাড়া জমা দেওয়া হইয়াছে উহা সনাক্ত করার মত পর্যাপ্ত বিবরণ;

(খ) যে সময়ের জন্য ভাড়া জমা দেওয়া হইয়াছে উহার বিবরণ;

(গ) ভাড়া জমা দেওয়ার কারণ ও পরিস্থিতি;

(ঘ) উপ-ধারা (১) বা (৪) এর অধীন জমারক্ষেত্রে, বাড়ী-মালিকের নাম ও ঠিকানা;

(ঙ) উপ-ধারা (২) এর অধীন জমারক্ষেত্রে, ভাড়াটিয়ার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে যে বাড়ী-মালিক ভাড়া পাইবার অধিকারী তাহার নাম ও ঠিকানা;

(চ) উপ-ধারা (৩) এর অধীন জমারক্ষেত্রে, বাড়ী-মালিকের নাম ও সর্বশেষ জানা ঠিকানা৷

(৬) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন টাকা জমা দেওয়া হইলে নিয়ন্ত্রক উক্তরূপ জমার তারিখ হইতে পনর দিনের মধ্যে ডাক মনি-অর্ডার যোগে জমাকৃত টাকা বাড়ী-মালিকের ঠিকানায় পাঠাইয়া দিবেন এবং উক্ত টাকা পাঠাইবার সময় নিয়ন্ত্রক উহা হইতে মনি-অর্ডার খরচের টাকা কর্তন করিয়া রাখিবেন৷

(৭) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন টাকা জমা দেওয়া হইলে উহা নিয়ন্ত্রকের নিকট রক্ষিত থাকিবে যতক্ষণ পর্যন্ত না উহা গ্রহণ করার অধিকারী ব্যক্তি সম্পর্কিত সন্দেহ বা বিবাদ আদালতের সিদ্ধান্ত ও পক্ষগণের মধ্যে আপোষের দ্বারা দূর বা মীমাংসা হয় এবং উক্ত জমাকৃত টাকা আদালতের সিদ্ধান্ত বা পক্ষগণের মধ্যে আপোষ অনুযায়ী যিনি পাওয়ার অধিকারী তিনি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা উঠাইতে পারিবেন৷

(৮) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন টাকা জমা দেওয়া হইলে উহা নিয়ন্ত্রকের নিকট রক্ষিত থাকিবে যতক্ষণ পর্যন্ত না বাড়ী-মালিক নিয়ন্ত্রকের নিকট হাজির হইয়া তাহার পরিচয়, অবস্থান এবং বর্তমান ঠিকানা নিয়ন্ত্রকের সন্তুষ্টিমত প্রমাণ করিয়া জমাকৃত টাকা উঠাইয়া নেন৷

(৯) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন টাকা জমা দেওয়া হইলে বাড়ী-মালিক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিক্রমে Foreign Exchange Regulation Act, 1974 (VII of 1974) এর বিধান অনুযায়ী উক্ত জমাকৃত টাকা উঠাইয়া লইতে পারিবেন৷

(১০) উপ-ধারা (৬) এর অধীন ডাক মনি-অর্ডারযোগে প্রেরিত টাকা অবিলিকৃত বলিয়া ফেরত্ আসিলে নিয়ন্ত্রক, উহা আসার পনর দিনের মধ্যে, উহা জমা সম্পর্কে একটি নোটিশ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাড়ী-মালিকের উপর জারী করিবেন এবং জমা টাকা বাড়ী-মালিক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উঠাইতে পারিবেন৷

(১১) উপ-ধারা (৭), (৮), (৯) বা (১০) এ উল্লিখিত টাকা জমা হইবার তারিখ হইতে তিন বত্সর অতিবাহিত হইবার পূর্বে উঠানো না হইলে উহা আদালতের আদেশ সাপেক্ষে, সরকারে বাজেয়াপ্ত হইবে এবং অন্য কোন আইন বা চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাড়ী-মালিক উক্ত টাকা মামলার মাধ্যমে বা অন্য কোন প্রকারে সংশ্লিষ্ট বাড়ী সম্পর্কিত তাহার কোন দাবী হিসাবে ভাড়াটিয়ার নিকট হইতে আদায় করার অধিকারী হইবেন না :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত তিন বত্সর গণনায় উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত সন্দেহ দূর বা পক্ষগণের মধ্যে বিবাদ মীমাংসা করার জন্য আপীলসহ আদালতে নিষ্পন্নাধীন যে কোন আইনগত কার্যধারায় ব্যয়িত সময় বা উপ-ধারা (৯) এ উল্লিখিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির জন্য পেশকৃত দরখাস্ত নিষ্পন্নাধীন থাকার সময় বাদ যাইবে৷

(১২) এই ধারার অধীন জমা গ্রহণকারী নিয়ন্ত্রক কর্তৃক সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের জন্য সরকার বা সরকারের কোন কর্মকর্তার বিরূদ্ধে কোন মামলা দায়ের বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না, কিন্তু এই ধারার কোন কিছুই উহার অধীন জমাকৃত কোন টাকা পাওয়ার অধিকারী কোন ব্যক্তি কর্তৃক উহা এই ধারার অধীন যে ব্যক্তিকে প্রদান করা হইয়াছে তাহার নিকট হইতে আদায় করা নিবৃত্ত করিবে না৷

মনি-অর্ডার যোগে প্রেরিত ভাড়া গ্রহণ বা ভাড়া উঠানোর বিষয়ে হেফাজত:   ২০৷ যদি কোন বাড়ী-মালিক ধারা ১৮(৫) বা ১৯(৬) এর অধীন ডাক যোগে প্রেরিত কোন ভাড়া গ্রহণ করেন অথবা ১৯ এর অধীন জমাকৃত কোন ভাড়া উঠাইয়া নেন, তাহা হইলে উক্তরূপ গ্রহণ বা উঠাইয়া নেওয়া কোন অবস্থাতেই তাহার বিরুদ্ধে এই মর্মে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহৃত হইবে না, যে তিনি মনি-অর্ডার ফরমে বা ভাড়া জমা করার দরখাস্তে উল্লিখিত বিবরণ সঠিক বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন অথবা তিনি তত্কর্তৃক ভাড়াটিয়াকে প্রদত্ত বাড়ী খালি করার নোটিশ প্রত্যাহার করিয়াছেন৷

ভাড়াটিয়া কর্তৃক মেরামত ইত্যাদি:   ২১৷ (১) কোন বাড়ী-মালিক তাঁহার ভাড়া দেওয়া কোন বাড়ী মেরামত করিতে বাধ্য থাকিলে বা পানি বা বিদ্যুত্ সরবরাহ বা পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশন বা লিফট ব্যবস্থাসহ কোন অত্যাবশ্যকীয় সরবরাহ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভাড়ার শর্ত বা স্থানীয় প্রথা অনুযায়ী বাধ্য থাকিলে এবং তজ্জন্য ভাড়াটিয়া নিয়ন্ত্রকের নিকট দরখাস্ত করিলে, নিয়ন্ত্রক ভাড়ী-মালিককে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নোটিশ প্রদান করিয়া উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ জারীর ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি বাড়ী-মালিক উক্তরূপ মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করিতে ব্যর্থ হন বা অবহেলা করেন তাহা হইলে ভাড়াটিয়া উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ নিজে করার জন্য নিয়ন্ত্রকের অনুমতি প্রার্থনা করিয়া উহার জন্য আনুমানিক খরচের একটি হিসাবসহ দরখাস্ত করিতে পারিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দরখাস্ত প্রাপ্ত হইবার পর নিয়ন্ত্রক, বাড়ী-মালিককে শুনানীর সুযোগ দিয়া এবং উক্ত আনুমানিক খরচের হিসাব বিবেচনা করিয়া এবং প্রয়োজন মনে করিলে আরও তদন্ত করিয়া, লিখিত আদেশ দ্বারা ভাড়াটিয়াকে আদেশে উল্লেখিত অর্থের অনধিক অর্থ ব্যয়ে উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করার অনুমতি দিতে পারিবেন৷

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন অনুমতি প্রাপ্ত হইলে ভাড়াটিয়া নিজ ব্যয়ে উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবেন এবং তজ্জন্য ব্যয়িত অর্থ ভাড়া হইতে কর্তন করিয়া বা অন্য কোন ভাবে বাড়ী-মালিক হইতে আদায় করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অর্থের পরিমাণ নিয়ন্ত্রকের আদেশে উল্লেখিত অর্থের অধিক হইবে না এবং কোন বত্সরে উক্ত অর্থের পরিমাণ উক্ত বত্সরে প্রদেয় ভাড়ার এক-ষষ্ঠাংশের বেশী হইবে না :

আরও শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয়িত অর্থ নিয়ন্ত্রকের আদেশে উল্লেখিত অর্থের অধিক হয় তবে উক্ত অতিরিক্ত অর্থ ভাড়াটিয়া বহন করিবেন৷

(৫) কোন বাড়ীতে যে মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করা না হইলে উহাতে বসবাস করা বা উহা ব্যবহার করা চরম কষ্টসাধ্য হয় সে মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করিতে বাড়ী-মালিক সকল অবস্থাতেই বাধ্য থাকিবেন এবং উক্তরূপ মেরামত উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হইবে না; এবং যদি বাড়ী-মালিক উক্তরূপ মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) প্রয়োগেক্ষেত্রে উক্তরূপ মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয়িত অর্থ তাহার ভাড়া কর্তন করা বা তাহার নিকট হইতে আদায়ের ব্যাপারে উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত অর্থের পরিমাণের সীমা প্রযোজ্য হইবে না৷

(৬) উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত কোন মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এতই জরুরী যে উক্তরূপ উপ-ধারাসমূহে বর্ণিত পদ্ধতিগত বিলম্ব ভাড়াটিয়ার ব্যক্তিগত ক্ষতি বা মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি করিতে পারে সেক্ষেত্রে ভাড়াটিয়া নিজেই উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত নোটিশ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাড়ী-মালিকের উপর জারী করিয়া তাহাকে নোটিশ জারীর বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করার অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং সংগে সংগে উক্ত নোটিশের একটি অনুলিপি, উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আনুমানিক খরচের একটি হিসাবসহ, নিয়ন্ত্রকের নিকট পেশ করিবেন৷

(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন নোটিশ জারী হইবার পর যদি বাড়ী-মালিক নোটিশ উল্লেখিত সময়ের মধ্যে উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে ভাড়াটিয়া নিজেই উক্ত মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবেন এবং তজ্জন্য ব্যয়িত অর্থের হিসাব নিয়ন্ত্রকের নিকট পেশ করিবেন৷

(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন পেশকৃত হিসাব বিবেচনা করিয়া এবং প্রয়োজন মনে করিলে আরও তদন্ত করিয়া নিয়ন্ত্রক ভাড়াটিয়া কর্তৃক বাড়ী-মালিক হইতে আদায়যোগ্য খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন এবং ভাড়াটিয়া উক্তরূপ নির্ধারিত অর্থ ভাড়া হইতে কর্তন করিয়া বা অন্য কোনভাবে বাড়ী-মালিক হইতে আদায় করিতে পারিবেন :

(২) অনুরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

আরও পড়ুন