দীর্ঘদিন ধরে দলে কোণঠাসা এবং রাজনীতির মাঠে প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকা অনেক নেতাই এবার স্থান পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী তালিকায়। রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে সরে যাওয়া এসব প্রার্থীর ভোটের মাঠে ফিরে আসা নতুন বার্তা দিচ্ছে, পাশাপাশি মেলাতে হচ্ছে অনেক সমীকরণও। তবে দিন বদলের পালায় বিএনপির প্রার্থী তালিকায় তাদের পেয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।
বছর চারেক আগে খুলনা মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়ায় পদ হারান নজরুল ইসলাম মঞ্জু। পরে তার কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদও স্থগিত করা হয়। এরপর থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন এই নেতা। তবে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা মঞ্জুর ওপরই ভরসা রেখেছে বিএনপি। তিনি খুলনা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে ফেরার সুযোগ পেলেন। তার মনোনয়নের খবরে তৃণমূল বিএনপি উজ্জীবিত।
পটুয়াখালী-১ আসন থেকে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে। গত ১৭ বছরে মামলা-মোকদ্দমায় মাঠের রাজনীতিতে তিনি নিস্প্রভ ছিলেন। মনোনয়ন পাওয়ার মধ্যদিয়ে তিনিও আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন।
১৯৯৬ সালে চাঁদপুর-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন এহসানুল হক মিলন এবং ২০০১ সালে মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে হারিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হন। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজয়ের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। রাজনীতি থেকে অনেকটাই আড়ালে চলে যান মিলন। তবে আসন পুনরুদ্ধারে দল তাকেই আবার বেছে নিয়েছে। এহসানুল হক মিলন দল জেতানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
রাজবাড়ী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে হেরে যাবার পর গত কয়েক বছরে জেলার রাজনীতিতে তিনি কোণঠাসা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে না থাকার অভিযোগ-অনুযোগও রয়েছে। তবে অতীত ভুলে তিনি আবারও বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ডিবিসি/পিআরএএন