বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ শহিদ আবু সাঈদের হত্যার এক বছর পূর্ণ হলেও মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত বছরের এই দিনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এই তরুণ।
আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে যে আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ দেশজুড়ে দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং মাত্র ২০ দিনের মাথায় তৎকালীন সরকারের পতন ঘটিয়েছিল, সেই আন্দোলনের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও আবু সাঈদ হত্যার বিচার আটকে আছে তদন্তের বেড়াজালে, যা তাঁর পরিবার ও সহযোদ্ধাদের হতাশ করেছে।
ছেলের ছবি বুকে নিয়ে বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছেন আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা-মা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা জানান, দেশ পরিবর্তন হলেও তারা তাদের সন্তানকে ফিরে পাননি, এমনকি ছেলের হত্যার বিচার পাওয়ারও কোনো আশ্বাস দেখছেন না। পরিবারের অভিযোগ, তদন্ত ও দীর্ঘসূত্রতার সাতকাহনে বিচার প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করা হচ্ছে।
আবু সাঈদের সহপাঠী ও সহযোদ্ধারা বলছেন, তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী প্রতীক। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বপ্নগুলো যেন ফিকে হয়ে আসছে এবং সমাজে বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ মনে করেন, শোষণমুক্ত ও সমঅধিকারের যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আবু সাঈদ দেখতেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো সেই পথে যাত্রা শুরু করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিবিসি/কেএলডি