এক নতুন ও বিস্তারিত ডিএনএ গবেষণা থেকে জানা গেছে, বিড়ালরা হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের কাছাকাছি বাস করলেও তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্যে খুব সামান্যই পরিবর্তন এসেছে। এই গবেষণাটি ইঙ্গিত দেয় যে, মানুষ বিড়ালকে ইচ্ছাকৃতভাবে পোষ মানায়নি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের পোষাপ্রাণীতে পরিণত করেছে।
'নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় গবেষকরা ৯,০০০ বছরেরও বেশি পুরনো ২০০টির বেশি বিড়ালের ডিএনএ বিশ্লেষণ করেছেন। এর মধ্যে প্রাচীন রোমান বিড়ালের দেহাবশেষ এবং মিশরীয় বিড়ালের মমি-ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, আজকের গৃহপালিত বিড়ালদের দুটি প্রধান পূর্বপুরুষ ধারা রয়েছে।
গবেষণার সহ-লেখক, ইউনিভার্সিটি অফ লুভেনের ক্লদিও ওতোনি বলেন, প্রায় ৮,০০০ বছর আগে বিড়ালরা সম্ভবত প্রথম মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। তারা উর্বর চন্দ্রাকৃতির অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক জনবসতিগুলোতে থাকতে শুরু করে, কারণ সেখানে ইঁদুরের সহজলভ্যতা ছিল। ইঁদুরেরা মানুষের শস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্য নষ্ট করত। বিড়ালরা যখন এই ইঁদুরগুলোকে শিকার করত, তখন মানুষ এবং বিড়ালের মধ্যে এক ধরনের পারস্পরিক সুবিধার সম্পর্ক তৈরি হয়।
ওতোনি বলেন, 'এমনটা নয় যে মানুষ কিছু বিড়াল ধরে খাঁচায় ঢুকিয়েছিল।' বরং, মানুষ তাদের অবাধে নিজেদের পোষ মানানোর সুযোগ দিয়েছিল। হাজার হাজার বছর ধরে এই প্রক্রিয়াটি চলেছে, এবং বিড়ালরা তাদের বন্য পূর্বপুরুষদের অনেক বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে, শুধু সাম্প্রতিক সময়ে ট্যাবি বিড়ালের ডোরাকাটা বা ফোঁটা ফোঁটা প্যাটার্নের মতো কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন দেখা গেছে।
তথ্যসূত্র ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
ডিবিসি/এমইউএ