জাতীয়, অর্থনীতি

বিদেশে কর্মী পাঠানো দালালদের বৈধতা দিতে যাচ্ছে সরকার

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৩ই নভেম্বর ২০২০ ০২:২৭:১১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রিক্রুটিং এজেন্সির হয়ে বিদেশগামী কর্মীদের মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা ব্যক্তি-যারা দালাল হিসেবে পরিচিত তাদের বৈধতা দিতে যাচ্ছে সরকার।

এসব দালালদের বৈধতা দিতে এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে গঠিত হয়েছে কমিটি। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে বিদেশগামীদের হয়রানি কমবে। আর, এতে খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভর্তুকি দাবি করছে এজেন্সিগুলো।

প্রতি বছর গড়ে বিদেশ যান ৬ থেকে ৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মী। অভিবাসন বিষয়ক এক বেসরকারি সংস্থার মতে প্রতি বছর আরও প্রায় দেড় লাখ কর্মী টাকা দিয়েও বিদেশ যেতে পারেন না। আবার বিদেশগামীদের ৩২ ভাগ সেখানে গিয়েও চাকরি না পেয়ে নানা হয়রানির মুখে পড়েন। মাঠ পর্যায় থেকে এসব কর্মী যোগাড়, পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়াসহ বিভিন্ন ধাপে রিক্রুটিং এজেন্সির হয়ে কাজ করেন কিছু লোক। যারা দালাল নামে পরিচিত। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এবার তাদের হয়ে কত জন দালাল কাজ করবে তার একটা তালিকা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দিতে বলা হয়েছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামসুল আলম বলেন, 'রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে অভিবাসন আইন অনুযায়ী। প্রতিনিধি বা দালাল যাই বলা হোকনা কেন তারা একসাথে দু'টি এজেন্সিতে কাজ করতে পারবে না। কোনও অপরাধ করলে তাদের যেন আটক করার সুযোগ থাকে।'

কোনো রিক্রুটিং এজেন্সিরই মাঠপর্যায়ে জনবল বা কাঠামো নেই। তাদের হয়ে কাজ করা দালালদের তালিকাভুক্ত করা হলে জেলা পর্যায়ে অফিস খুলতে হবে। এতে তাদের খরচ বেড়ে যাবে বলে দাবি করেছে বায়রা।

এ বিষয়ে বায়রা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, 'তারা কখন কোথায় বসে কাজ করবে সেজন্য এজেন্সিগুলো দায়বদ্ধ হয়ে যায়। তাই তাদের কিভাবে গণনার মধ্যে আনা যায় এবং তাদের কুকর্মের দায় যেন এজেন্সিগুলোর ওপর না পড়ে।'

দালালদের তালিকাভুক্ত করলে কোন এজেন্সি কতজন কর্মী পাঠাচ্ছে তার হিসাব রাখা সহজ হবে বলে মনে করছে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দালালদের এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন