পুলিশকে পেশাদার, জবাবদিহিমূলক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সরকার। এরই অংশ হিসেবে বিসিএস ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে বিবাহিতদের নিয়োগ না দেয়ার প্রস্তাব এসেছে পুলিশ বাহিনীর ভেতর থেকেই। প্রশিক্ষণে আসা প্রায় ৭০ ভাগই বিবাহিত, যাদের অনেক সময়ে গুণগত প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হয় না। তাই নিয়োগবিধি সংশোধনের প্রস্তাবও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি জিল্লুর রহমান। তবে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিসিএস এ অংশগ্রহণকারীদের।
পুলিশ নিয়ে মানুষের মাঝে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিগত সময়ে বাহিনীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়।
গত বছরের ৫ই আগস্টের আগে বিরোধী দল দমনে ব্যস্ত ছিল বাহিনীটির অনেক সদস্য। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ভোট জালিয়াতি, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা, গায়েবি মামলাসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল তাদের অনেকে। যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদেরে উপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।
৫ই আগস্টের পর পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের সিন্ধান্ত নেয় আর্ন্তবতী সরকার। আসে মনোগ্রামে পরিবর্তন ও ভেঙ্গে যাওয়া মনবল ফিরিয়ে আনতে নেয়া হয় বিশেষ উদ্যোগ। আলোচনায় আসে বিসিএস ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে বিবাহিতদের নিয়োগ না দেয়ার প্রস্তাবটিও।
তবে, এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে পুলিশে চাকরি প্রত্যাশীদের মাঝে। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া প্রায় ৭০ ভাগই বিবাহিত। তাই নিয়োগবিধি সংশোধনী আনার কথা জানালেন পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলছেন, প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকার বাইরে যেতে অনীহা অনেকের। ঢাকায় থাকার জন্য বাড়ে তদ্বিরের চাপ, বাধাগ্রস্থ হয় সেবাদান। এদিকে পুলিশ সদস্যদের নিজেদের বৃহত্তর জেলায় পদায়নের কথা ভাবছে সরকার। এ সুযোগ পাবেন পুলিশে কর্মরত স্বামী-স্ত্রী দুজনই।
ডিবিসি/ রাসেল