কাতার-সমর্থিত পিএসজি এই মৌসুমে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মে মাসে ইন্টার মিলানকে বিধ্বস্ত করে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার পর তারা ফরাসি লিগ এবং কাপও নিজেদের ঝুলিতে ভরেছে। এবার তাদের সামনে বিশ্বসেরার মুকুট পরে এক মৌসুমে চারটি শিরোপা জেতার বিরল গৌরব অর্জনের সুযোগ। সেমিফাইনালে তারা রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে।
অন্যদিকে, চেলসির জন্য এই ফাইনালটি হলো হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের মঞ্চ। রোমান আব্রামোভিচ যুগের পর থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়া চেলসি ২০১৭ সালের পর থেকে প্রিমিয়ার লিগ জিততে পারেনি। তবে, এই মৌসুমে উয়েফা কনফারেন্স লিগ জিতে তারা নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। ২০২১ সালে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার সুবাদেই তারা এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। অতীতে তারা একবার (২০২১ সালে) ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছে এবং একবার (২০১২ সালে) ফাইনালে হেরেছে। এবার জিততে পারলে তারা হবে দ্বিতীয়বার এই শিরোপা জেতা প্রথম ইংলিশ ক্লাব, যা তাদের জন্য হবে এক বিশাল অর্জন।
ফিফার নতুন আঙ্গিকে আয়োজিত ৩২ দলের এই ক্লাব বিশ্বকাপ শুধু মাঠের খেলাতেই নয়, অর্থের পরিমাণেও ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এটিকে বলা হচ্ছে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে লাভজনক টুর্নামেন্ট। ফাইনালে পৌঁছানোর জন্যই পিএসজি এবং চেলসি, উভয় দলই ইতোমধ্যে প্রায় ১১৩ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা) আয় নিশ্চিত করে ফেলেছে।
রবিবারের ফাইনালের বিজয়ী দল অতিরিক্ত পুরস্কার হিসেবে পাবে আরও ৪০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা)। সব মিলিয়ে, বিজয়ী দলের মোট আয় ১২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যতে দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হবে নিউ জার্সির বিখ্যাত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে, যার দর্শক ধারণক্ষমতা ৮২,৫০০। এই মাঠেই ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে, যা রবিবারের ম্যাচটিকে এক ভিন্ন মর্যাদা এনে দিয়েছে। সব মিলিয়ে, অর্থ, সম্মান এবং ইতিহাসের হাতছানিতে এই ফাইনালটি হতে চলেছে এক স্মরণীয় অধ্যায়। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
ডিবিসি/জেআরওয়ােই