বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ সি-ল্যান্ড। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি না পেলেও একটি স্বাধীন দেশ হিসেবেই পরিচিত আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে ভাসমান দেশটি। যার আছে নিজস্ব পতাকা, মুদ্রা, ডাকটিকিটও।
আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে দুটি পিলার। তার ওপর রাখা বৃহদাকার পাটাতন। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এটিই একটি দেশ।
অবশ্য এই পাটাতনটি একটি ভবনের উপরভাগ। নিচে আছে বেশ কয়েকটি কক্ষ। আর এটিকেই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করে আসছে এখানকার বাসিন্দারা। আবার বর্তমান বাসিন্দা আবার তিনজন। ভাসমান দেশটির নাম সি ল্যান্ড। প্রাতিষ্ঠানিক নাম প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড। তবে দেশটির নেই কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
একটি স্বাধীন দেশ হতে যা যা প্রয়োজন তার সব কিছুই আছে সি ল্যান্ডে। আছে রাজধানী, আলাদা মুদ্রা, পতাকা এমনকি পাসপোর্টও।
ইংল্যান্ডের শ্যাফলক উপকূল থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সি-ল্যান্ডের আয়তন প্রায় ছয় হাজার বর্গফুট।
দেশটির একমাত্র বাড়িটিই হলো রাজপ্রাসাদ। তবে দুটি পিলারের ভেতর ছোট ছোট ঘর আছে। যেগুলোতে প্রায় তিনশ মানুষ বসবাস করতে পারবে। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য আছে জেনারেটর।
সি ল্যান্ডের এই অবকাঠামো তৈরি হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ইংল্যান্ডকে রক্ষার জন্য। পরবর্তিতে ব্রিটিশ নৌ কমান্ডার মিশেল বেটস ও তার পরিবার এ দূর্গটি দখল করে এবং একে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে।