মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ৫৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কেবল জাপানে মৃত্যু হয়েছে ২৫৬ জনের।
নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯৩ জন। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৫৮১ জনের।
আজ রবিবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৫ জনে।
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬ জনে। এছাড়া করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৪ কোটি ৮৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫৩ জন।
এদিকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার এখনো শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের, মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৪২ জনে।
এছাড়া ব্রাজিলে একদিনে মারা গেছেন ১৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২২ জন, রাশিয়ায় ৪০ জন, তাইওয়ানে ৭৯ জন, এবং পেরুতে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। এসময়ে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু না হলেও নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ই মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৭ কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৫ জনের।
এছাড়া গত প্রায় তিন বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৬৪ কোটি ৮৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৫ জন।