বিশ্বব্যাপী তরুণ মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হালাল পণ্যের বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এমনটি জানিয়েছেন রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাসকোয়ালিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ম্যাক্সিম প্রোটাসভ। তাতারস্তানের রাজধানী কাজানে অনুষ্ঠিত কাজানফোরামের সাইডলাইন বৈঠকে কথা বলার সময় ম্যাক্সিম প্রোটাসভ আরও বলেন, 'হালাল পণ্যের বাজারটি কয়েক ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের। এটা বিশাল কারণ বিশ্বের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ মুসলমান।'
এর ব্যাখ্যায় প্রোটাসভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের বেশি মুসলমান যেখানে হালাল পণ্য এবং পরিষেবার বাজার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রাশিয়ার জাতীয় মান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি হালাল পণ্য ও পরিষেবার মান, সার্টিফিকেশন, স্বীকৃতি, পর্যবেক্ষণের কাজ করে আসছে। আনদোলু এজেন্সির তথ্য।
ইসলাম ধর্মের নির্দেশিকা মেনে প্রস্তুতকৃত পণ্য এবং পরিষেবাগুলোকে বলা হয় হালাল পণ্য বা পরিষেবা। গত বছর, ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ইউনুস ইতে বলেন, হালাল পণ্য ও পরিষেবার বাজার ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে এবং আগামী পাঁচ বছরে এটি ১০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রোটাসভের মতে, 'মুসলমান জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ হচ্ছে তরুণ-তরুণী ও যুব সমাজ। তাই তাদের পণ্য ও পরিষেবার ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে।'
এ কারণেই রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই বর্ধনশীল বাজারে ঢুকার জন্য পরিকল্পনা নিচ্ছে। প্রোটাসভ বলেন, দেশে হালাল বাজারের উপযোগী প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করা রাশিয়ান মান সংস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে উঠেছে।তিনি হালাল বাজারের ভবিষ্যত নিয়েও আশাবাদী।
তিনি উল্লেখ করেন, সংস্থাটির গবেষণা দল আশা করে, হালাল বাজারের পরিধি প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ শতাংশ বাড়ছে।
'কাজানফোরামের এজেন্ডার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, বিশ্বের হালাল পর্যটন পরিষেবাগুলোতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়ানো। তিনি বলেন, যে বিশ্বব্যাপী মোট পর্যটন খাতের ৯ থেকে ১০ শতাংশ আসে মুসলমানদের কাছ থেকে। এটি একটি বড় অংশ এবং প্রতি বছর এর আকার কয়েক শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।' তিনি যোগ করেন।
বিশ্বে মুসলমানরা হচ্ছে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা ২ দশমিক ২ বিলিয়নে পৌঁছাবে। পৃথিবীতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ, যা পৃথিবীর অন্য যেকোনো ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি।
ডিবিসি/ এসএইচ