টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী দিল্লি। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে একাধিক এলাকা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরের মধ্যে বন্দি মানুষ, ব্যাহত ট্রাফিক ও বিমান পরিষেবা। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও বিহারে প্রবল বর্ষণে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রশাসন জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু জায়গায় বন্যার মতন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এছাড়া দিল্লিতে ৫ জন, বিহারে ৫ জন, হিমাচল প্রদেশে ৪ জন, হরিয়ানার গুরগাঁও'য়ে ৩ জন, রাজস্থানের জয়পুরে ৩ জন এবং উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কেরালার ওয়েনাডে টানা বর্ষণের কারণে ভূমিধসে ২৫৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে পুরো ভারতে বৃষ্টি ও ভূমিধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে ২৮৩ জনের।
অত্যাধিক বৃষ্টির কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার বদলে ১০টির বেশি ফ্লাইটের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি বিমানকে নামানো হয়েছে জয়পুরে, লখনওয়ে নামানো হয়েছে দুটি বিমানকে।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে এখনো দেরি হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদেরও বেশ কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু এই অসুবিধার জন্য এয়ারলায়েন্স কর্তৃপক্ষ দুঃখিত।
দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকবে।
দিল্লিতে লাল সর্তকতা জারি করে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টি থেকে এখনই নিস্তার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় বজ্রপাতসহ ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে কিলোমিটার হতে পারে।
ডিবিসি/ এসএসএস