টানা ভারী বৃষ্টিপাত, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়কের একাধিক অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে মঙ্গলবার (৫ই আগস্ট) সকাল থেকে সাজেকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় কয়েকশ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছানোয় সোমবার রাত থেকে বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। এছাড়া, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চালু থাকা পাঁচটি ইউনিট থেকে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, নিম্নাঞ্চলে ৩ ফুটের বেশি পানি বাড়লে বন্যা দেখা দিতে পারে এবং পরিস্থিতি নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার (৫ই আগস্ট) মাচালং বাজার এলাকার সড়ক ৫ থেকে ৮ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। বুধবার (৬ই আগস্ট) নতুন করে বাঘাইহাট বাজারের পাশের নিচু সড়কেও পানি উঠেছে।
এতে সাজেক যাওয়ার পথে বাঘাইহাটে তিন শতাধিক এবং সাজেক থেকে ফেরার পথে দুই শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েন। তাদের মধ্যে অনেককে ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং বাঁশের ভেলা দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহীরা সীমিতভাবে ফিরতে পারলেও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসা পর্যটকদের পানি না কমা পর্যন্ত সাজেকেই অবস্থান করতে হচ্ছে। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মণ জানান, পর্যটকরা হঠাৎ করে সড়ক তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতেন না এবং মঙ্গলবার তারা বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আটকে ছিলেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আকতার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মঙ্গলবার মাচালং এবং আজ (বুধবার) নতুন করে বাঘাইহাট অংশ তলিয়ে গেছে। তবে আজ সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আটকে পড়া পর্যটকদের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য সাজেক হোটেল-মোটেল সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।’
ডিবিসি/এনএসএফ