শুক্রবার থেকে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। রমজান মাসে অন্যতম আমল হলো তারাবির নামাজ ও তারাবিতে কোরআন খতম। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এশার ফরজ নামাজের পর বিশ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হবে।
পবিত্র রমজান মাসের রাতে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে তারাবি নামাজ বলা হয়।
তারাবির নামাজে পূর্ণ এক খতম কোরআন শরিফ তেলাওয়াত শোনার লক্ষ্যে অনেকেই খতমে তারাবিতে অংশ নিবেন। আমাদের দেশের সাধারণ রেওয়াজ অনুযায়ী খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের প্রথম দেড় পারা তোলাওয়াত করা হয়।
কোরআনের প্রথম সূরা ফাতেহা শুধু তারাবি নয় বরং সব নামাজের প্রত্যেক রাকাতেই তেলাওয়াত করা হয়। এর আয়াত সংখ্যা ৭টি।
কোরআন শরীফ পড়ার মাধ্যমে তারাবির নামাজ আদায় করা রমজান মাসের অন্যতম আমল। ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী প্রতিদিনের তারাবির নামাজে কোরআনের নির্ধারিত অংশ পড়া নির্ধারণ করেছেন। যাতে যে কেউ দেশের যে কোনো মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করতে চাইলেও পরিপূর্ণ কোরআন তিলাওয়াত শোনা থেকে বঞ্চিত না হন।ৎ
আরও পড়ুন: চাঁদ দেখা যায়নি, দেশে রোজা শুরু শুক্রবার
রমজান মাসে ২৭ দিনে পূর্ণ কোরআন পাঠের মাধ্যমে মুসল্লিরা তারাবির নামাজ আদায় করেন। যা ‘খতম তারাবি’নামে পরিচিত। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সূচিত হয় রমজান মাস। তারাবির নামাজও পড়া শুরু হয় সেদিন থেকে।
তারাবিতে নিয়মানুযায়ী প্রথম ছয় দিন দেড় পারা করে তিলাওয়াত করা হবে। ছয় দিনে পড়া হবে ৯ পারা। আর বাকি ২১ দিনে এক পারা করে পড়ানো হবে।
এদিকে বুধবার (২২ মার্চ) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় বৃহস্পতিবার প্রথম তারাবি এবং শুক্রবার প্রথম রোজা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বৈঠক সূত্র জানায়, বুধবার চাঁদ দেখা যায়নি তাই বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। এ হিসাবে শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খাওয়া হবে।
বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।
ডিবিসি/এএসডি