‘সারারাত আমি আর আমার ভাইবোনেরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদি। আমাদের কষ্ট দেখে বাবা-মাও কাঁদেন। এই জীবন আমাদের আর ভালো লাগে না, আমরা আর এভাবে বাঁচতে চাই না। কীভাবে বাঁচতে হয়, সেটাই আমরা জানি না। আমরা একই সাথে জীবিত এবং মৃত।’ কথাগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ১৪ বছর বয়সী জানার। গাজার শিশুরা এখন যেন বেঁচেও মরে আছে!
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল-প্যালেস্টাইন’ গাজার শিশুদের কিছু মর্মস্পর্শী সাক্ষ্য প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা ইসরায়েলি বোমা হামলা ও অবরোধের মধ্যে তাদের দৈনন্দিন জীবনের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেছে। অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে গাজার শিশুরা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের কারণে খাবারের অভাবে দিনে মাত্র একবার খাবার জোটে তাদের।
আরেক কিশোরী, ১৬ বছর বয়সী সুমাইয়া তার দুর্দশার কথা তুলে ধরে। ইসরায়েলি হামলায় বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে সে এবং তার পরিবার এখন একটি স্কুলের শ্রেণীকক্ষে আরও তিনটি পরিবারের সাথে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে। সুমাইয়া বলে, ‘এখানে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কোনো অধিকার নেই। হাসপাতালগুলো যখন বিদেশের কাছে সাহায্য চায়, দখলদার বাহিনী তখন ঔষধপত্র আসতে বাধা দেয়। আমার মনে হয়, তাদের আসল লক্ষ্য হলো অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু এবং নার্সদের হত্যা করা।’
সূত্র: জিও টিভি
ডিবিসি/এফএইচআর