টানা কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে চীনের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এতে বেইজিংয়ের পাহাড়ি উত্তরাঞ্চলে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
বেইজিং সংলগ্ন হেবেই প্রদেশে ভূমিধসে চারজন নিহত এবং আটজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার (২৮শে জুলাই) বেইজিংয়ে বৃষ্টি তীব্রতর হয়, যার ফলে মিয়ুন জেলায় ২৮ জন এবং ইয়াংকিং জেলায় দুজন মারা যান।
এই ব্যাপক বৃষ্টিতে কয়েক ডজন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১৩৬টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিসিটিভি জানিয়েছে, ৮০,০০০ এরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে মিয়ুনে প্রায় ১৭,০০০ জন রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাদামী বন্যার পানি আবাসিক এলাকা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ফেলছে এবং রাস্তাগুলোকে নদীতে পরিণত করছে।
সোমবার বেইজিং সর্বোচ্চ বন্যা সতর্কতা জারি করে বাসিন্দাদের ফুলে ওঠা নদী থেকে দূরে থাকতে বলেছে। শহরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রও বৃষ্টিপাতের জন্য সর্বোচ্চ রেড অ্যালার্ট জারি করে, যা রাতে বৃষ্টি আরও তীব্র হওয়ার এবং পাহাড়ি এলাকায় আকস্মিক বন্যা, কাদা ও ভূমিধসের "অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকি" সম্পর্কে সতর্ক করে।
সোমবার সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ, শহরের সমস্ত দর্শনীয় স্থান বন্ধ এবং সমস্ত গ্রামীণ হোমস্টে ও ক্যাম্পিং স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
চীনা নেতা শি জিনপিং সোমবার বলেছেন, এই ভারী বৃষ্টিপাত এবং এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ বেইজিং এবং হেবেই, জিলিন ও শানডং প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে "উল্লেখযোগ্য হতাহত ও সম্পত্তির ক্ষতি" ঘটিয়েছে। শি কর্মকর্তাদের নিখোঁজদের সন্ধানে "সর্বাত্মক প্রচেষ্টা" চালানোর, ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের সঠিকভাবে সরিয়ে নেওয়ার এবং হতাহতের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তথ্যসূত্র সিএনএন।
ডিবিসি/এমইউএ