বাংলাদেশ, অর্থনীতি

বেনাপোল স্থলবন্দর: রেলপথে আমদানি বাণিজ্যে ধস, রাজস্ব কমেছে অর্ধেকেরও বেশি

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৭ই আগস্ট ২০২৫ ০৯:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে রেলপথে পণ্য আমদানি বাণিজ্যে তীব্র মন্দা দেখা দিয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলপথে আমদানি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়েও বড় ধরনের ধস নেমেছে। সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা একটা সময় রেলপথে বাণিজ্যে আগ্রহী হলেও এখন নানা জটিলতায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে রেলপথে ভারত থেকে ৪১ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছিল, সেখানে বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা প্রায় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে মাত্র ১২ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। আমদানির এই পতনের সরাসরি প্রভাব পড়েছে সরকারের রাজস্ব আয়ের ওপর। আগের অর্থবছরে এ খাত থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও বিদায়ী বছরে তা কমে মাত্র আড়াই কোটি টাকায় ঠেকেছে, যা অর্ধেকেরও কম।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, একটা সময় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে বাণিজ্য ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কম জটিলতায় দ্রুত ও নিরাপদে পণ্য খালাস করা যেত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫টি ভারতীয় ট্রেন পণ্য নিয়ে বেনাপোলে আসত। কিন্তু গত বছর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন মাসে মাত্র দুই থেকে তিনটি ট্রেন আসছে।

 

আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, "ডলার সংকট ও এলসি (ঋণপত্র) খোলার জটিলতার কারণে আমদানি কমেছে। এর সাথে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভারতীয় পক্ষের বিভিন্ন বিধিনিষেধ যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।"

 

এই বিষয়ে বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, "রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভারতের কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে রেলপথে আমদানি কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতি মাসে নিয়মিত ট্রেন আসত, এখন তা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।"

 

তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। রেলপথে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানির সুযোগ থাকলেও বেনাপোল রেলস্টেশনে প্রয়োজনীয় ইয়ার্ড বা টার্মিনাল না থাকায় সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এর ফলে একমুখী বাণিজ্যের ওপরই নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে, যা বন্দরের বাণিজ্যিক ভারসাম্যকে ব্যাহত করছে।

 

ডিবিসি/আরএসএল 

আরও পড়ুন